অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবার স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন – DesheBideshe

অপরাধ নিয়ন্ত্রণে এবার স্থায়ী হলো দ্রুত বিচার আইন – DesheBideshe

ঢাকা, ২৯ জানুয়ারি – আইন শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ দ্রুত বিচার সংশোধন আইন ২০২৪ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর সচিবালয়ে করা ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বলেন, প্রথম যখন আইনটি প্রণয়ন করা হয়, তখন এটির মেয়াদ ছিল দুই বছর। পরবর্তীতে সেটার কয়েক ধাপে মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল।

আইনটি স্থায়ী করার কারণ জানিয়ে মাহবুব হোসেন বলেন, ‘জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, এই আইনটির অনেক সুফল আছে। আইনটির কারণে এই ক্ষেত্রে তাদের তরফ থেকে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য খুব কাজে লেগেছে, এজন্য তারা আইনটি কন্টিনিউট করতে চাচ্ছেন।’

আইনটি স্থায়ী করার প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় তোলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনটি পুরোনো। আগে যা ছিল, তা-ই থাকবে। কেবল মেয়াদ দুই বা তিন বছর না বাড়িয়ে স্থায়ী করা হয়েছে।’

দ্রুত বিচার আইন রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদের ওপর প্রয়োগের অভিযোগের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বৈঠকে ওই লাইনে আলোচনা হয়নি, আজ পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলা বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য, অপরাধীকে শাস্তি দেয়ার ক্ষেত্রে এই আইনটি কার্যকর ভূমিকা রাখতে পেরেছে বলে জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে, মন্ত্রিসভা সেটিকে গ্রহণ করেছে।’

‘আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) আইন, ২০২৪’ নামের এই আইনটির মেয়াদ ছিল ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত। আইনটি স্থায়ী হওয়ায় এখন আর ধাপে ধাপে এর মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হবে না।

২০০২ সালে আইনটি প্রণয়নের সময় বলা হয়েছিল এর মেয়াদ হবে ১৭ বছর। মেয়াদ শেষে ২০১৯ সালে আইনটি আরও ৫ বছরের জন্য কার্যকর রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

আইনটি প্রণয়নের সময় এর উদ্দেশ্যে সম্বন্ধে বলা হয়েছিল, চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এ আইন।

এ আইনে দোষী প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড করার বিধান আছে। এই আইনে বিচার পরিচালনার জন্য প্রতিটি জেলায় এক বা একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আছে।

দ্রুত বিচার আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরও ৬০ দিন সময় পাওয়া যায়।

সূত্র: বাংলাদেশ জার্নাল
আইএ/ ২৯ জানুয়ারি ২০২৪

Scroll to Top