ইরাক থেকে শিগগিরই মার্কিন সেনা প্রত্যাহারে আলোচনা শুরু করবে যুক্তরাষ্ট্র। বিষয়টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘গত বছরের আগস্টে ঘোষণা করা উচ্চ সামরিক কমিশন সংলাপ শুরু করার বিষয়ে একটি চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছেছে ওয়াশিংটন এবং বাগদাদ। ওই সংলাপের লক্ষ্য ভবিষ্যতে সেনা প্রত্যাহারের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নির্ধারণ করা।’
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সেনা প্রত্যাহারের সময়-সূচির ক্ষেত্রে ইরাকের বর্তমান পরিস্থিতি এবং তার সরকার ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার স্থিতিশীলতার প্রতিফলন ঘটাতে চায় ওয়াশিংটন।
এদিকে ইরাকি নেতৃত্ব বিশ্বাস করে যে, সেনা প্রত্যাহারের সময়সীমার ক্ষেত্রে কোনও অবস্থাতেই প্রভাবিত হওয়া উচিত হবে না।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানী গত ৫ জানুয়ারি বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক জোটের ইরাকের মাটিতে উপস্থিতির ন্যায্যতা ফুরিয়ে গেছে এবং বিদেশী সামরিক উপস্থিতি শেষ করার জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত বাগদাদ।
তিনি আরও বলেন, ইরাক সরকার বিদেশী সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি দ্বিপাক্ষিক কমিশনের কাঠামোর মধ্যে আলোচনা শুরুর তারিখ নির্ধারণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বাগদাদে মার্কিন ড্রোন হামলায় হারাকাত আল-নুজাবা আন্দোলনের একজন নেতা আবু তাকওয়া নিহত হওয়ার পর ওই বিবৃতি আসে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে পেন্টাগন ৮ জানুয়ারি জানিয়েছিল, তারা এই মুহুর্তে ইরাক থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহারের পরিকল্পনা করছে না। বর্তমানে প্রায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা ইরাকের বিভিন্ন ঘাঁটিতে মোতায়েন রয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র প্যাট রাইডার বলেছেন, তিনি ইরাক সরকারের কোনও অনুরোধ সম্পর্কে অবগত নন।
তিনি আরও বলেন, ইরাকের বৈধ সরকারের অনুরোধে মার্কিন বাহিনী দেশটিতে অবস্থান করছে।