এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
এক সপ্তাহ ধরে পরিচালক ও দুই মাস ধরে উপপরিচালক শূন্য অবস্থায় রয়েছে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট। এর ফলে ইনস্টিটিউটের একাডেমিক কার্যক্রম স্থবির ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তাও হুমকির মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির।
এর মধ্যে বিভিন্ন দাবিতে প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়মিত চলছে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি।
জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অবসরে যাওয়ায় এই পদটি শূন্য রয়েছে। এর আগে সাবেক উপপরিচালককে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গত ১ সেপ্টেম্বর জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট থেকে ওএসডি করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালীতে ন্যস্ত করে। শীর্ষ দুইটি প্রশাসনিক পদই শূন্য থাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছে হাসপাতালটির প্রশাসনিক কার্যক্রম, ব্যাহত হচ্ছে রোগীর সেবা।
৫ আগস্টের পর থেকেই ঢাকার শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত হাসপাতালটিতে অস্থিরতা ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। ৬ আগস্ট জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন কক্ষ ভাংচুর এবং ল্যাপটপসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র চুরি করে দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠিত হলেও তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার আগেই কমিটির প্রধান তৎকালীন উপপরিচালককে বদলি করা হয়। পরে পদায়িত উপপরিচালক গত ১ সেপ্টেম্বর ওএসডি হন। ১২ সেপ্টেম্বর আগের পরিচালককে সরিয়ে নতুন পরিচালক পদায়ন করা হয়। গত ২৩ অক্টোবর তিনি অবসরে যান।
এর মধ্যে হাসপাতালের চারজন চিকিৎসককে আগের সরকারের আমলের সুবিধাভোগী দাবি করে তাদের বদলির দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
অন্যদিকে, ‘বৈষম্য বিরোধী ও কোটা আন্দোলনের সমন্বয়ক’ হিসেবে পরিচয় দানকারী একজন ওএসডি চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এবং বহিরাগতমুক্ত হাসপাতালের দাবিতে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত চারদিন ধরে হাসপাতালে অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করছেন। সব মিলিয়ে ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক, শিক্ষা ও চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকারী সহযোগী অধ্যাপক জানান, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে পরিচালক ও উপপরিচালক এর শূন্য পদ পূরণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।