প্রোটিয়াদের কাছে হেরে অভিযোগের ঝুলি খুলল লংকানরা

প্রোটিয়াদের কাছে হেরে অভিযোগের ঝুলি খুলল লংকানরা

স্পোর্টস ডেস্ক

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে লজ্জাকর হার। মাত্র ৭৭ রানে গুঁটিয়ে যাওয়া লংকানরা হেরেছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। আর এমন হারের পর নানান অভিযোগ তুলেছে লংকানরা। এর মধ্যে যাতায়াত ব্যবস্থা, সূচি এবং অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগ দলটির।

এবারের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছে ২০ টি দল। প্রথম পর্বে এই ২০ দলের মধ্যে কেবল ২টি দলই চারটি ম্যাচ খেলবে চারটি আলাদা ভেন্যুতে। এই দুই দলের একটি শ্রীলংকা আর অপরটি নেদারল্যান্ডস। এই দুলই ডি গ্রুপে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। চার ম্যাচ চার ভেন্যুতে খেলতে হবে বিধায় লংকানদের ভ্রমণ করতে হবে বেশি। একই সঙ্গে যাত্রাপথের বিভিন্ন ভোগান্তিও আছে। এসব নিয়েই অভিযোগ করেছেন দলটি।

মহেশ থিকশানা বলেন, ‘আমাদের জন্য এটা অন্যায্য হয়ে গেছে। প্রতিটি ম্যাচের পরই আমাদের দৌড়াতে হবে। কারণ, চারটি ভিন্ন ভেন্যুতে খেলা পড়েছে আমাদের। এটা অন্যায়। ফ্লোরিডার মায়ামি থেকে ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে আট ঘণ্টার মতো অপেক্ষা করতে হলো। রাত ৮টার ফ্লাইট পেলাম ভোর ৫টায়। এটা অন্যায্য, তবে খেলায় এর প্রভাব পড়েনি।’

কেবল অতিরিক্ত ভ্রমণই নয় সেই সঙ্গে হোটেল ব্যবস্থাপনা নিয়েও অভিযোগ থিকশানার। তিনি বলেন, ‘মাঠ থেকে মাত্র ১৪ মিনিটের দূরত্বে যে দুটি দল হোটেল পেয়েছে, তাদের নাম বলব না। আমাদের দূরত্ব ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের। ওই দুটি দল একই ভেন্যুতে খেলবে, তাই কন্ডিশনও ওদের জানা থাকবে। একই ভেন্যুতে তারা অনুশীলন ম্যাচও খেলেছে। আর কেউ এমন সুবিধা পায়নি। আমরা ফ্লোরিডায় অনুশীলন ম্যাচ খেলেছি, আবার সেখানে খেলব তৃতীয় ম্যাচটি। পরেরবার সবাই এ নিয়ে চিন্তা করবে বলে আশা করছি। এ বছর তো আর কিছু বদলানোর সুযোগ নেই।’

তবে এমন অব্যবস্থাপনাকে অজুহাত হিসেবে দেখাতে চাইছেন না হাসারাঙ্গা। কিন্তু তবুও এসব নিয়ে মুখ না খুলে বসেও রইলেন না লংকান দলপতি। হাসারাঙ্গা বলেন, ‘আমরা এমনটা বলতে পারি না। কয়েকটা দিন খুব কঠিন ছিল। চার ভেন্যুতে চার ম্যাচ। এটা কঠিনই। এখানকার কন্ডিশন আমাদের জানা ছিল না। নিউইয়র্কে তো এটাই আমাদের প্রথম ম্যাচ ছিল। পরের ম্যাচ ডালাসে, সেখানকার কিছুও জানা নেই আমাদের। পরের ম্যাচটা ফ্লোরিডায়, সেখানে আমরা দুটি ম্যাচ খেলেছি। আমাদের জন্য একমাত্র ভালো খবর এটিই।’

সারাবাংলা/এসএস

Scroll to Top