ঈদের দিনে ভুরিভোজে সাবধান

ঈদের দিনে ভুরিভোজে সাবধান

শাশ্বতী মাথিন

ঈদের দিন ভুরিভোজ করতে বেশিরভাগই ভালোবাসেন। তবে এক মাস রোজা রাখার পর হুট করে একদিনে বেশি খাবার খেলে দেহের ১২টা বাজে। অতিরিক্ত খাবার খাওয়া ক্ষতিকর কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ওজনাধিক্যের ঝুঁকি বাড়ায়, এমনটাই বলছেন পুষ্টিবিদরা।

পপুলার মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের প্রধান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি বলেন, ‘ঈদের দিন অনেকেই একটু পর পর ভারী খাবার (পোলাও, বিরিয়ানি, খাসি, গরুর মাংস ইত্যাদি) খায়। এতে ওজন হঠাৎ বাড়ে। ওজন বেড়ে গেলে সহজে কমে না। এগুলো এতোই চর্বি জাতীয় খাবার যে লিপিড প্রোফাইল পরিবর্তন হয়ে যায়। যাদের কোলেস্টেল, হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের জটিলতা বাড়ে।’

আবার উৎসবের কারণে মিষ্টি জাতীয় খাবার খায় অনেকে। ঈদের মধ্যে সবার বাসায় কিছু না কিছু মিষ্টি জাতীয় খাবার রান্না হয়। আর বেড়াতে গেলে সেগুলো মুখে দেওয়া লাগে। এ ক্ষেত্রে ঝুঁকিতে পড়েন ডায়াবেটিস রোগীরা। এক চামচ করে ঘুরে ঘুরে এক বাটি হয়ে যায়। ডায়াবেটিস থাকলে এ ক্ষেত্রে ভীষণ সতর্ক থাকতে হবে- জানান এই পুষ্টিবিদ।

ঈদের দিনের স্বাস্থ্যকর খাবারের বিষয়ে পুষ্টিবিদ নিশির পরামর্শ-

# একই আইটেম বার বার খাবেন না। মিষ্টি কম দিয়ে সেমাই রান্না করে খেতে পারেন।

# বিরিয়ানি বা পোলাও এক থেকে দেড় কাপ খেতে হবে। অতিরিক্ত ক্যালরির খাবার খেলে পরিমাণটা মাথায় রাখতে হবে।

# ঈদের দিন অনেকে ঘি, ডালডা, মাখন দিয়ে খাবার রান্না করেন। হুট করে এসব খাবার পেটের সমস্যা বাড়ায়। চল্লিশোর্ধ্বদের এ ধরনের খাবার না খাওয়াই ভালো। এর বদলে সূর্যমুখির তেল, ক্যানোলার তেল ইত্যাদি ব্যবহার করে রান্না করতে পারেন।

# এ সময় শাক-সবজি যেন খাবারের তালিকায় থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবজিকেও মজা করে খাওয়া যায়। যেমন : চাইনিজ ভেজিটেবল, সটেট বেজ, চিকেন চিলি অনিয়ন ইত্যাদি রান্না করা যেতে পারে। মাশরুম দিয়েও খাবার রান্না করতে পারেন।

# যারা গরু বা খাসির মাংস খায়, তারা দৃশ্যমান চর্বিকে বাদ দিয়ে রান্না করবেন। মাংসের টুকরোগুলো হবে ছোট।

# এই গরমে বিভিন্ন ফল ও ফলের জুস খেতে পারেন। কোমল পানীয় না খেয়ে ডাবের পানি, মিল্ক সেক ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখুন।

সারাবাংলা/এসবিডিই

Scroll to Top