ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার ডার্বির শুরুতেই মার্কোস রাশফোর্ডের দুর্দান্ত এক গোলে পিছিয়ে পড়ল সিটিজেনরা। এরপর একের পর এক গোল মিসের মহড়া সিটির। এক গোলে লিড নেওয়ার পর নিজেদের হারিয়ে ফেলেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। আক্রমণের চেয়ে রক্ষণের বেশি নজর ছিল সফরকারিদের। সেই সুযোগে একের পর এক গোলের সুযোগ তৈরি করে যাচ্ছিল সিটি। তবে এর্লিং হালান্ড থেকে শুরু করে ফিল ফোডেন কিংবা কেভিন ডি ব্রুইন গোল মিস করেছেন সবাই।
তবে আক্রমণের ধারা ধরে রেখে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে রেড ডেভিলদের চেপে ধরে সিটিজেনরা। আর তাতেই মিলল ফল। দুর্দান্ত এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখল পেপ গার্দিওলার দল। ফিল ফোডেনের জোড়া গোলের সঙ্গে এর্লিং হালান্ডের এক গোলে সিটিজেনরা ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতে নিল ৩-১ গোলের ব্যবধানে।
ইতিহাদ স্টেডিয়ামে রোববার মৌসুমের দ্বিতীয় ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতে লিগ লিডার লিভারপুলের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান এক করল সিটি। ২৭ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। সমান ম্যাচে ১৯ জয় ৫ ড্র’তে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি। এক ম্যাচ কম খেলে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে আর্সেনাল। এদিকে ২৭ ম্যাচে ১৪ জয় দুই ড্র’তে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে অবস্থান করছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ম্যাচের শুরু থেকেই বল দখলে রেখে আক্রমণ সাজাতে শুরু করে সিটি। তবে আট মিনিটের মাথায় প্রতি-আক্রমণ থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেন মার্কোস রাশফোর্ড। ডি-বক্সের বাইরে প্রতিপক্ষের একজনের চ্যালেঞ্জের মুখে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কাটব্যাক করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। আর প্রথম ছোঁয়ায় ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট গতির শট নেন র্যাশফোর্ড, বল ক্রসবারের নিচের অংশে লেগে জালে জড়ায়।
গোল হজম করে আক্রমণের ধার বাড়িয়ে দেয় স্বাগতিকরা। ১৪তম মিনিটে দারুণ এক সুযোগ পেয়েও শেষ বাধা ভাঙতে পারেননি ফোডেন। ডি-বক্সে অরক্ষিত এই মিডফিল্ডারের শট পা দিয়ে ঠেকিয়ে দেন ইউনাইটেড গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা। চার মিনিট পর তিনি ফোডেনের আরেকটি প্রচেষ্টাও রুখে দেন।
সিটির আক্রমণ রুখে প্রতি-আক্রমণে বেশ ভুগিয়েছে রেড ডেভিলরা। তবে শেষ টানতে ব্যর্থ হওয়ায় প্রথমার্ধে আর গোল পায়নি রেড ডেভিলরা। ওই একটি গোল বাদে, প্রথম ৪৫ মিনিটের লড়াইয়ে সিটির দাপট কতটা ছিল তার প্রমাণ মেলে পরিসংখ্যানেও। এই সময়ে মোট ১৭টি শট নিয়ে তিনটি লক্ষ্যে রাখে তারা, ১২টি কর্নারও আদায় করে নেয় দলটি; কিন্তু জালের দেখা মেলেনি। বিপরীতে প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশ্যে দুটি শট নিয়ে একটি লক্ষ্যে রাখতে পারে ইউনাইটেড এবং তাতেই গোল।
দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেই একচেটিয়া আক্রমণ করতে থাকে সিটি। অবশেষে ৫৬তম মিনিটে সমতায় ফেরে সিটি। রদ্রির পাস ধরে কিছুটা আড়াআড়ি গিয়ে দূরপাল্লার জোরাল শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফোডেন। প্রতিপক্ষের ওপর প্রবল চাপ ধরে রাখার সুফল ৮০তম মিনিটে ফের পায় সিটি। নায়ক আবার ফোডেন। কেভিন ডি ব্রুইনের পাস ধরে বাঁয়ে হুলিয়ান আলভারেজকে বাড়িয়ে ফোডেন ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন। এরপর ফিরতি পাস ধরে একটু এগিয়ে কোণাকুণি শটে দলকে উচ্ছ্বাসে ভাসান ২৩ বছর বয়সী ফুটবলার।
এরপর ম্যাচের নির্ধারিত সময় শেষে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ে স্কোরশিটে নাম লেখান এর্লিং হালান্ড। এতেই ৩-১ গোলের জয় নিশ্চিত হয় ম্যানচেস্টার সিটির।
The post দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে ম্যানচেস্টার ডার্বি জিতল সিটি appeared first on Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment.