পরে বদরের বন্দীদের সহজ শর্তে মুক্তি দেওয়া হয়। তাঁদের অনেকেই ইসলামের অনুপম আদর্শে মুগ্ধ হয়ে মুসলমান হলেন। মুক্তিপণের মূল্য ছিল ২ থেকে ১২ হাজার দিরহাম। গরিবদের বিনা পণেই মুক্তি দেওয়া হয়। শিক্ষিত বন্দীদের একেক জনকে ১০ জন মুসলিম শিশুকে লেখাপড়া শেখানোর বিনিময়ে মুক্তি দেওয়া হয়।
সব ক্ষেত্রে মহানবীর (সা.) সুন্নত ও সাহাবায়ে কিরামের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে পারলে, সাহাবায়ে কিরামে আদর্শ অনুসরণ করলে, রমজানের লক্ষ্য তাকওয়া অর্জিত হলে, আল্লাহর সাহায্য আসবেই। আজও বদরের মতো অলৌকিক বিজয় সংঘটিত হবে। জগৎ মুক্ত হবে অশুভ পেশিশক্তির জুলুম নিপীড়ন থেকে। সব জুলুম, অন্যায়–অবিচারের অবসান হবে। সত্য, সুন্দর, সাম্য ও ইনসাফের মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে।
রমজান ত্যাগের, ধৈর্য ও সহিষ্ণুতার মাস। এর মাধ্যমেই আসে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয়। তাই রমজান বিজয়ের মাস। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন, ‘সবর ও সালাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য কামনা করো।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৫৩)
-
মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী যুগ্ম মহাসচিব: বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি সহকারী অধ্যাপক: আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজম
[email protected]