স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
দশম বিপিএলে অবশেষে দেখা মিলল অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। আগে ব্যাট হাতে কার্যকারী একটা ইনিংস খেললেন। পরে বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। সাকিবের অলরাউন্ডার রূপে জ্বলে উঠার দিনে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ৬০ রানের বিশাল জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স।
অনেকদিন যাবত চোখের সমস্যায় ভুগছিলেন সাকিব। যাতে ব্যাটিংটা তার একদমই হচ্ছিল না। বিপিএল খেলছিলেন অনেকটা বোলার হিসেবেই। চলতি বিপিএলে এর আগের পাঁচ ম্যাচের দুটিতে ব্যাটিং করতেই নামেননি। বাকি তিন ম্যাচে তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল ২ রান! তিন ম্যাচ মিলিয়ে রান করেছিলেন মাত্র ৪! বোলিংটা অবশ্য খারাপ হচ্ছিল না। আজ দুই বিভাগেই জ্বলে উঠলেন বাংলাদেশের জাতীয় দলের অধিনায়ক।
আগে ব্যাটিং করে ১৭৫ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল রংপুর। পরে ১১৫ রানেই গুটিয়ে গেছে ঢাকা। এতে আগে থেকেই পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা রংপুরের শীর্ষস্থান আরও মজবুত হলো। সপ্তম ম্যাচ খেলতে নেমে পঞ্চম জয় পেল রংপুর। অপর দিকে ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই হারা ঢাকা এখন টেবিলে সবার নিচে।
মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুরের ১৭৫ রানের জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকেছে ঢাকা। ওপেনার নাঈম শেখ একপ্রান্ত ধরে বেশ ভালোই খেলছিলেন। কিন্তু অপরপ্রান্তে অন্যরা মেতে উঠেছিলেন যাওয়া-আসার মিছিলে।
দলীয় ৪ রানে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। ৩২ রানে হারিয়েছে তৃতীয় উইকেট। নাঈমকে সঙ্গ দিতে পারেননি অন্য কেউই। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৮ ওভারে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় ঢাকা। নাঈম শেখ ৩১ বলে তিনটি করে চার-ছয়ে ৪৪ রান করেন। ঢাকার পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছেন ইরফান শুক্কুর, ১৫ বলে ২১।
রংপুরের হয়ে সাকিব ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ১৬ রান খরচ করে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মাহেদি হাসান, হাসান মাহমুদ ও সালমান ইরশাদ।
এর আগে ব্যাটিংটাও দারুণ হয়েছে রংপুরের। খুব একটা ফর্মে না থাকা রনি তালুকদার আজ দারুণ ব্যাটিং করেছেন। শুরুর ওভারগুলোতে ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন রনি। দলীয় ৬৭ রানের মাথায় ফেরার আগে ২৪ বলে ৬টি চার ১টি চয়ে ৩৯ রান করেছেন রনি।
অপর ওপেনার বাবর আজম ধরে খেলেছেন। তিনে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। প্রথমে রয়েসয়ে খেললেও পরে ঝড়ো ব্যাটিং করতে চেয়েছেন। চতুরঙ্গা ডি সিলভাকে টানা দুই ছক্কা হাঁকিয়েছেন। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকেও টানা দুই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় ধরা পরেছেন সাকিব। ফেরার আগে করেছেন ৩৪ রান।
একই ওভারে ফিরেছেন বাবর আজমও। চলতি বিপিএলে নিজের শেষ ম্যাচ খেলতে নামা বাবর ৪৩ বলে ৫টি চারে ৪৭ রান করেছেন বাবর। এরপর শেষ দিকে নুরুল হাসান সোহান ও মোহাম্মদ নবি কার্যকরী দুটি ইনিংস খেলে রংপুরের স্কোরটা ভালো অবস্থানে নিয়ে গেছেন।
তাসকিন আহমেদের শেষ ওভারে তিন ছক্কা হাঁকানো মোহাম্মদ নবি ১৬ বলে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। নুরুল হাসান সোহান ১০ বলে ১৬ রান করেছেন। ঢাকার হয়ে ৩০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন।
সারাবাংলা/এসএইচএস