দুর্নীতি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাগওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, একই অভিযোগে জিম্বাবুয়ের আরও ১০ ব্যক্তি ও তিনটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটি।
তালিকায় রয়েছে জিম্বাবুয়ের ফার্স্ট লেডি অক্সিলিয়া মানাঙ্গাগওয়া, ভাইস প্রেসিডেন্ট কনস্টান্টিনো চিওয়েঙ্গা এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ওপাহ মুচিঙ্গুর। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট’র উপদেষ্টা কুদাকওয়াশে ট্যাগওয়াইরি, তার স্ত্রী এবং তাদের দু’টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত।
মার্কিন সরকার বলছে, জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে শক্তিশালী কিছু ব্যক্তি এবং কোম্পানির জঘন্য আচরণ বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এবং দুর্নীতিবাজদের কর্মের সাথে মিলে যায়।
যুক্তরাষ্ট্র আশ্বস্ত করে বলছে, ‘এসব ব্যক্তি ও সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা জিম্বাবুয়ে বা দেশটির জনসাধারণের ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিনিধিত্ব করে না।’
নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে তাদের সম্পদ ভোগদখল করতে পারবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যাংকে থাকা অর্থ তুলতে পারবেন না। এছাড়াও নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানগুলো যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের সঙ্গে কোনো ব্যবসা ও লেনদেন করতে পারবে না।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এদের দ্বারা আমরা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন প্রত্যক্ষ করছি।’
যুক্তরাষ্ট্র প্রথম ১৯৯০ এর দশকের গোড়ার দিকে জিম্বাবুয়ের ওপর অর্থনৈতিক এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে এবং অন্যান্য উচ্চ-পদস্থ সরকারি কর্মকর্তাদের লক্ষ্য করে সেসময় এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।