তাইওয়ানের তাইপেই শহর থেকে ব্যাংকক যাওয়ার বিমান ছেড়েছিল ঠিক সময়েই। আকাশে ওড়ার বেশ কিছুক্ষণ পর মাঝ আকাশে হঠাৎ প্রসববেদনা শুরু হয় এক যাত্রীর। পরিস্থিতি প্রতিকূল দেখে ককপিট ছেড়ে বেরিয়ে আসেন বিমানচালক জাকারিন সরানরাক্সুল। মাটি থেকে হাজার ফুট উঁচুতে বিমানের শৌচাগারে জন্ম হয় ফুটফুটে এক শিশুর।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংককগামী ওই বিমানের শৌচাগারে প্রসববেদনায় কাতরাতে থাকা যাত্রীকে দেখে বিমানসেবিকা খবর দেন চালক জাকারিনকে। ককপিটের দায়িত্ব সহ-বিমানচালকের হাতে দিয়ে পরিস্থিতি দেখতে আসেন তিনি। এমন পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিমানের জরুরি অবতরণ করানো হয়। তবে এ ক্ষেত্রে সেই সময়টুকুও ছিল না। জাকারিন নিজেই ধাত্রীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। প্রসব সম্পন্ন হয় নির্বিঘ্নেই।
জাকারিন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিমানচালক হিসেবে কাজ করছি প্রায় ১৮ বছর। এর আগে কখনও এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হইনি। সদ্যোজাতটিকে সুস্থভাবে পৃথিবীর আলো দেখাতে পেরে আমার গর্ব হচ্ছে। নতুন মা-ও সুস্থ রয়েছেন। ওই বিমানে থাকা অন্যান্য কর্মীরা ওর নাম রেখেছেন ‘স্কাই’।