পরীক্ষার অতিরিক্ত চাপ নিতে না পেরে সুইসাইড নোট লিখে পরীক্ষার আগেই আত্মহত্যা করেছেন দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ভারতের জয়েন্ট এন্ট্রান্স এক্সামিনেশনের (জেইই) এক পরীক্ষার্থী। নিহারিকা সিং নামক ওই পরীক্ষার্থীর বয়স ১৮ বছর।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ভারতের কোটার বোরখেদা এলাকার বাসভবন থেকে নিহারিকার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিলেন এবং জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার (জেইই) জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলেও, পৌঁছানোর পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নীহারিকার দেহের সঙ্গে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে স্থানীয় পুলিশ। নীহারিকা তার সুইসাইড নোটে লিখেছেন, মা এবং বাবা, আমি জেইই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারব না। তাই আমি আত্মহত্যা করছি। আমি হেরে গেছি। আমি সবচেয়ে খারাপ মেয়ে। দুঃখিত মা এবং বাবা। আমার কাছে আর কোন উপায় ছিলো না।
নীহারিকা তার বাবা সাথে কোটায় থাকতেন। তার বাবা একজন ব্যাংক কর্মকর্তা। ভারতের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ জেইই পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করার জন্য তিনি দ্বাদশ শ্রেণির পুনরাবৃত্তি করছিলেন। দৈনিক ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা পড়ালেখা করা সত্ত্বেও তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাটাকে চ্যালেঞ্জ মনে করছিলেন।
এই ঘটনাটি জানুয়ারিতে ভারতে ঘটে যাওয়া দ্বিতীয় আত্মহত্যার ঘটনা। এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গত বছর ভারতে এমনই একটি আত্মহত্যার ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের হতাশা ও মানসিক চাপ থেকে রক্ষা করতে কোচিং ইনস্টিটিউট এবং জেলা প্রশাসনকে নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল।