ইরান-হিজবুল্লাহর শক্তিতে বলীয়ান হুতি যোদ্ধারা

ইরান-হিজবুল্লাহর শক্তিতে বলীয়ান হুতি যোদ্ধারা

হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েনে ওয়াটসন গত মাসে বলেছিলেন, কোন জাহাজকে লক্ষ্যবস্তু বানাতে হবে, সেটা ঠিক করার ক্ষেত্রে হুতিদের সরবরাহ করা ইরানের কৌশলগত গোয়েন্দা তথ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

ইয়েমেনের সেনাবাহিনীর সাবেক দুই সূত্র জানিয়েছে, ইয়েমেনে আইআরজিসি ও হিজবুল্লাহর কমান্ডারদের সুস্পষ্ট উপস্থিতি রয়েছে। হুতি যোদ্ধাদের সামরিক তৎপরতার তত্ত্বাবধান, প্রশিক্ষণ দেওয়া, যন্ত্রাংশ আলাদা আলাদা করে আনা ক্ষেপণাস্ত্র জোড়া দিতে তাঁদের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে।

সানার থিঙ্কট্যাংক সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের জ্যেষ্ঠ গবেষক আবদুল ঘানি আল–ইরিয়ানি বলেন, এটা স্পষ্ট যে লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণে হুতিদের সহায়তা করছেন ইরানিরা। তা না হলে, স্থানীয় হুতিদের সেই সামর্থ্য নেই।

ইরানের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করে একজন জ্যেষ্ঠ আঞ্চলিক সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত আসে তেহরান থেকে। সেটার ব্যবস্থাপনা করে হিজবুল্লাহ। আর বাস্তবায়ন হয় ইয়েমেনের হুতিদের মাধ্যমে।’

লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুতিদের হামলা বিশ্ববাণিজ্যকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সুয়েজ খাল হয়ে বাণিজ্য জাহাজ চলাচল মারাত্মভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক জাহাজ আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের দূরবর্তী উপকূল হয়ে দীর্ঘ ঘুরপথে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ—দুটোই বাড়ছে।

Scroll to Top