শিক্ষাক্রম আমূল পরিবর্তন করা যায় না

শিক্ষাক্রম আমূল পরিবর্তন করা যায় না

এ ছাড়া প্রাথমিক স্তরের পরিমার্জিত শিক্ষাক্রমে বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতাগুলোকে সহজ থেকে কঠিন, জানা থেকে অজানা এবং নিকট থেকে দূর— ক্রমে সাজানো হয়েছে।

শ্রেণিভিত্তিক আবশ্যকীয় শিখনক্রমে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত যথাযথ ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে। শিক্ষাক্রমে যোগ্যতা, শিখনফল ও পরিকল্পিত কাজগুলো অন্তর্ভুক্তিমূলক করে পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।

 উপরন্তু, প্রাথমিকের এই শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতি ও কৌশল এবং ধারাবাহিক মূল্যায়নের নির্দেশনা সংযোজন করা হয়েছে। মূল্যবোধ ও নৈতিকতার যোগ্যতাগুলোকে অভিন্ন রেখে বিভিন্ন ধর্ম অনুযায়ী শিখনফল বিন্যাস করা হয়েছে।

সংগীত এবং চারু ও কারুকলা বিষয়কে শিল্পকলা নামে এবং শারীরিক শিক্ষা বিষয়কে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা নামে পুনর্বিন্যস্ত করা হয়েছে।

 প্রাথমিকের এই শিক্ষাক্রমে পাঠ্যপুস্তকের আঙ্গিকে ও বিষয় বস্তুতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। কার্যক্রমভিত্তিক শিখন তথা সক্রিয় শিখনকে গুরুত্ব দিয়ে পাঠ্যপুস্তক রচনা করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীদের বুদ্ধিবৃত্তিক চাপ (কগনিটিভ লোড) সহনীয় পর্যায়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে জাপানের পাঠ্যপুস্তক প্রণয়নের কলাকৌশল প্রয়োগ করা হয়েছে।

 এখানে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শ্রেণি কার্যক্রমকে বাস্তবমুখী করার জন্য শিক্ষক সহায়িকায় সক্রিয় শিখনের বহুমাত্রিক কলাকৌশল, যেমন অনুসন্ধানমূলক শিখন, সমস্যা সমাধানভিত্তিক শিখন, প্রকল্পভিত্তিক শিখন, প্রতিফলনমূলক শিখন, অভিজ্ঞতামূলক শিখন ইত্যাদি সংযোজন করা হয়েছে।

সংখ্যার ধারণাকে গুরুত্ব দিয়ে তৃতীয় শ্রেণি থেকেই প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ে কম্পিউটার কোডিং সংযোজন করা হয়েছে।

Scroll to Top