শাহরিয়ার কবির বলেন, মামলাজট নিরসন ও এসব আপিল শুনানির জন্য আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এই স্মারকপত্রের অনুলিপি বিকেলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের বরাবর পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। যাত্রা শুরুর পর দুই বছরের মাথায় ২০১২ সালের ২২ মার্চ আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়, যা ট্রাইব্যুনাল-২ নামে পরিচিতি পায়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুই ট্রাইব্যুনালকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১) চলছে বিচার কার্যক্রম। মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে এ নিয়ে গত এক যুগের বেশি সময়ে ৫৪টি মামলার রায় দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এসব মামলায় দণ্ডিত আসামি ১৪৯ জন।
স্মারকলিপিতে নির্মূল কমিটি বলেছে, ট্রাইব্যুনাল ব্যক্তি হিসেবে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় গণহত্যাকারী ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধীর বিচার করলেও এখন পর্যন্ত গণহত্যা ও যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ী সংগঠনগুলো এবং ’৭১-এ পাকিস্তানি হাইকমান্ডের বিচার কার্যক্রম আরম্ভ হয়নি।