দলীয় প্রার্থীদের মধ্যে আপিলের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ১ জন, জাতীয় পার্টির ৫ জন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ৪ জন, তৃণমূল বিএনপির ৩ জন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির ৩ জন, বিএনএফের ২ জন, বিএনএমের ২ জন, জাকের পার্টির ১ জন, বিকল্পধারার ১ জন ও ইসলামী ফ্রন্টের ১ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।
হলফনামায় মামলার তথ্য উল্লেখ না করায় কিশোরগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নাসিরুল ইসলাম খানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা। গতকাল আপিলে নাসিরুল প্রার্থিতা ফিরে পান। তাঁর আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক।
ঋণের জামিনদার হিসেবে খেলাপি হওয়ায় মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে বিকল্পধারার প্রার্থী মাহী বি চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার পর মাহী বি চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ১৩ বছর আগে একটি প্রতিষ্ঠানের ঋণের জামিনদার ছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি (ঋণ তথ্য ব্যুরো) প্রতিবেদনে সেই প্রতিষ্ঠানের জামিনদার হিসেবে এখন তাঁর নাম উল্লেখ নেই।
স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে নেত্রকোনা-৫ আসনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন। প্রার্থিতার সমর্থনসূচক সইয়ের গরমিলের কারণে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছিল। তবে নেত্রকোনা-৪ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শফী আহমেদের আপিল নামঞ্জুর হয়েছে। তাঁর প্রার্থিতা বাতিলই থাকছে।
প্রার্থিতা ফেরত পাওয়ার পর আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ইসির সিদ্ধান্তে তাঁর এলাকার ভোটাররা আনন্দিত। নির্বাচন হয়তো অংশগ্রহণমূলক হবে, কিন্তু ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন কি না, গোপনীয়তার মধ্যে তাঁদের ভোট দিতে পারবেন কি না, এটি এখনো চ্যালেঞ্জ।