তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের হাজারও বোমা হামলার মধ্যে বাঁচা-মরার লড়াই করছেন ফিলিস্তিনিরা। ছিল ক্ষুধার যাতনা, চিকিৎসার অভাব আরও অনেক কিছু। এরই মধ্যে নতুন করে যোগ হয়েছে তীব্র শীত।
প্রচণ্ড শীত গাজার জনজীবনকে আরও বিপন্ন করে তুলেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী বৃদ্ধ এবং শিশুরা।
গাজায় ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে টেলিযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছে ইসরায়েল। এর মধ্যেই বোমা হামলা চলছে। খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও চিকিৎসার মত মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ফিলিস্তিনিরা। এরই মধ্যে প্রবেশ করেছে শীত। নাকাল হয়ে পড়েছে গাজার বাস্তুচুত ফিলিস্তিনিদের জীবন।
লাখ লাখ বাস্তুচুত মানুষ খোলা জায়গায় টিকে থাকতে আরও বেশি সংগ্রাম করছেন। গাজার ফিলিস্তিনিদের রক্ষায় বিশ্বনেতাদের কার্যকর কোন পদক্ষেপ দেখা না গেলেও, এরই মধ্যে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সাউথ আফ্রিকার মামলার প্রশংসা করছে বিশ্ববাসী।
ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিস আইসিজেতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে সাউথ আফ্রিকার গণহত্যা মামলার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সাউথ আফ্রিকার সমর্থনে বিবৃতি জারি করে একত্ব প্রকাশ করেছে বেশ কয়েকটি দেশ। সোমবার নতুন দেশ হিসেবে যোগ হয়েছে বাংলাদেশের নাম। এর আগে ৩০ ডিসেম্বর সাউথ আফ্রিকার মামলার পক্ষে সমর্থন জানায় অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কান্ট্রিজ (ওআইসি)।
এরপর সাউথ আফ্রিকাকে পর্যায়ক্রমে সমর্থন জানিয়েছে অন্যরা। ২ জানুয়ারী মালয়েশিয়া, ৩ জানুয়ারী তুরস্ক, এবং ৪ জানুয়ারী সমর্থন জানায় জর্ডান।
গত রোববার ল্যাটিন আমেরিকার প্রথম দেশ হিসেবে সমর্থন জানিয়েছে বলিভিয়া। গত মঙ্গলবার সমর্থন জানায় মালদ্বীপ, নামিবিয়া ও পাকিস্তান। বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার মামলার জন্য তাদের সমর্থন নিশ্চিত করেছে আরব লীগ। ওই দিনই কলম্বিয়া এবং ব্রাজিলও তাদের সমর্থনের কথা জানায়।