বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে বিএনপি-জামায়াতের বিচার দাবি করেছেন ২০০১ সাল পরবর্তী সময়ে রাজনৈতিক সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তরা। এসময় ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের সদস্যরা জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবিও জানিয়েছেন।
রোববার ১০ ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে মানববন্ধন করে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের সদস্যরা।
এসময় তারা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিনা বিচারে ফাঁসিতে ঝুলানোর অভিযোগ তুলে জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচারের দাবি জানান। এছাড়াও মানবাধিকার প্রশ্নে পশ্চিমা দেশগুলোর অবস্থানের সমালোচনাও করেন তারা।
বক্তারা বলেন, গেল এক দশকে দেশের রাজনৈতিক বিরোধে স্থায়ী আতঙ্কের নাম অগ্নি সন্ত্রাস। ক্ষমতার লড়াইয়ে ধ্বংসাত্মক রাজনীতির বলি হয়েছে সাধারণ মানুষ। জাতীয় নির্বাচনের আগে আরেকদফা রাজনীতির আগুনে পুড়ছে দেশ।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে ভুক্তভোগীরা তুলে ধরেন নরকযন্ত্রণার চিত্র। বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করে তাদের কণ্ঠে ন্যায়বিচার না পাওয়ার আক্ষেপ। বিভৎস বর্তমান তুলে ধরে সহিংসতামুক্ত রাজনীতির দাবি জানান তারা।
এ সময় ১৯৭৭ সালে সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের ফাঁসিতে ঝুলানো, ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা এবং ২০০৪ সালের ২১ অগাস্টের গ্রেনেড হামলার বিচার চান ক্ষতিগ্রস্তরা।