হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘এটিও উৎসাহব্যঞ্জক যে মার্কিন পর্যবেক্ষক থেকে শুরু করে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো, অন্যান্য দেশ ও বিভিন্ন জোটভুক্ত দেশের পর্যবেক্ষক যারা এসেছিল, তারা সবাই এ নির্বাচনকে অত্যন্ত সুন্দর, অবাধ, নিরপেক্ষ মর্মে অভিমত ব্যক্ত করেছে। নির্বাচনের সময় নানাবিধ গন্ডগোলের মাত্রা অন্যবারের চেয়ে অনেক কম হয়েছে বলে তারা অভিমত দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের বিবৃতিতে প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের সঙ্গে, অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কাজ করার কথা বলেছে। জাপান থেকে শুরু করে ৩১টির বেশি দেশের রাষ্ট্রদূতেরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন, অভিনন্দন জানিয়েছেন। ভারত, চীন, রাশিয়া অভিনন্দন জানিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি টেলিফোন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আর যারা ভোট বর্জনের কথা বলেছিল, অগ্নিসন্ত্রাস চালিয়ে ভোট বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল, সেই বিএনপি-জামায়াতের প্রতি মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। জনগণ উৎসাহের সঙ্গে ভোট দিয়ে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে।’
দেশের ইতিহাসে একটি ভালো, সুন্দর নির্বাচন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘নতুন সরকার গঠিত হতে যাচ্ছে। আমাদের সরকার নতুন যাত্রা শুরু করবে। সরকার গঠনের পর আমাদের প্রথম চ্যালেঞ্জ হবে দেশ থেকে অগ্নিসন্ত্রাসকে সমূলে উৎপাটন করা এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা।’
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সম্পর্কে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জন করে। কিন্তু স্বাধীনতার মহানায়ক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে মুক্ত-স্বাধীন বাংলাদেশে পদার্পণ না করা পর্যন্ত স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি। স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছিল, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি, যখন জাতির জনক স্বাধীন দেশের মাটিতে পদার্পণ করেছিলেন। ঐতিহাসিক এই দিনে জাতির জনকের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান তথ্যমন্ত্রী।