জাতীয় পার্টির নেতা সাইদুর রহমান টেপা, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, লিয়াকত হোসেন খোকার নেতৃত্বে একটি দল বনানী জাতীয় পার্টির অফিসে ঢুকতে চাইলে পার্টির চেয়ারম্যানের নিরাপত্তার কারণে পুলিশি বাধায় পড়েন তারা।
নেতারা অভিযোগ করে বলেন, জাতীয় পার্টির অফিসে যারা এসেছেন তাদের কোনো খোঁজখবর নেয়নি চেয়ারম্যান। তারা জানতে এসেছেন, কিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচন পরিচালনা করেছেন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেন। এসময় জাতীয় পার্টির কয়েকজন কো-চেয়ারম্যান, প্রেসিডিয়াম সদস্যসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা বলেন, জাতীয় পার্টির যেসব প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছেন, আগামীতে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। এ মুহূর্তে পার্টিকে সুসংগঠিত করে একটি জাতীয় সম্মেলন করাই হবে আমাদের প্রধান কাজ। জাতীয় পার্টিকে রক্ষা করা এবং পার্টির ঐক্য বজায় রাখার জন্য আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জিএম কাদের এবং মুজিবুল হক চুন্নুকে পদত্যাগ করতে হবে।
অতিরিক্ত মহাসচিব আরও বলেন, নির্বাচনে জাতীয় পার্টির চরম ভরাডুবি হয়েছে। জাতীয় পার্টির যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন তার সঙ্গে প্রার্থী মনোনয়ন নিয়ে মতানৈক্য হওয়ায় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ নির্বাচন থেকে বিরত ছিলেন। কিন্তু তিনি পার্টির মধ্যে বিভক্তি করতে দেননি। অথচ পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের গত ৪ বছরে তার সাংগঠনিক দুর্বলতা, রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা এবং অদক্ষতার কারণে জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছেন। তারই প্রতিফলন ঘটেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে।
সরকারের কাছে ধরণা দিয়ে ২৬টি আসনে সমঝোতা, পার্টির প্রার্থীদের সঙ্গে চরম বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রতারণা করে তাদের এক প্রকার পথে বসিয়ে দেওয়ার জন্য পার্টির দুই শতাধিক প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।