সকালের নাস্তার ভারী ঝামেলা এড়াতে আমরা অনেকেই দুধ দিয়ে ওটস খেলে বের হয়ে পড়ি। ওটসে যথেষ্ট পরিমাণ ফাইবার রয়েছে। এ ছাড়া ওটস-এর মধ্যে রয়েছে জ়িঙ্ক, ফোলেট এবং ম্যাগনেশিয়ামের মতো খনিজ। যা শরীরবৃত্তিয় কাজকর্ম পরিচালনা করার জন্য অন্তত গুরুত্বপূর্ণ।
সারাদিনের ধকল সামলাতে রোজ সকালে একবাটি ওটস যথেষ্ট। তবে দীর্ঘদিন একই রকমভাবে ওটস খেলে কেমন প্রভাব পরে শরীরে?
ভারতীয় পুষ্টিবিদ দীপালি শর্মা বলেন, কম ক্যালোরির খাবার হিসেবে ওটস বেশ জনপ্রিয়। তা ছাড়া, এই খাবার সহজপাচ্য বটে। তাই শিশু থেকে বয়স্ক সকলকেই এই খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, ওট্স রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এই খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম।
তিনি আরও বলেন, ওট্সে যে ধরনের কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, তা ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য ভাল। আবার রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল কিংবা ট্রাইগ্লিসারাইড নিয়ন্ত্রণেও ওটসের হাত রয়েছে। কার্ডিয়োভাসকুলার কোনও রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা এড়াতে চাইলে নিয়ম করে ওটস খাওয়াই যায়। অন্ত্রের মধ্যে থাকা ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে ওটস।