শ্রেণিকক্ষ পুড়ে যাওয়ায় শুরু হয়নি পাঠদান

শ্রেণিকক্ষ পুড়ে যাওয়ায় শুরু হয়নি পাঠদান

পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী মোছা. তাইবা আক্তার, চতুর্থ শ্রেণির জান্নাতুল মাওয়া, তৃতীয় শ্রেণির মীম আক্তার জানায়, ১ জানুয়ারি তারা সহপাঠীদের সঙ্গে বিদ্যালয়ে এসে নতুন বই নিয়ে গেছে। পরে তারা শোনে, বিদ্যালয়ে কে বা কারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। এখন ক্লাস বন্ধ, গতকাল সহপাঠীদের সঙ্গে তারা বিদ্যালয়ে এসেছে পরিস্থিতি দেখতে। কত সুন্দর ঝকঝকে শ্রেণিকক্ষ ছিল তাদের, এখন সব পুড়ে কালো হয়ে গেছে। এসব দেখে তাদের মন খারাপ হয়ে গেছে।

চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মো. আবু হুরায়রা বলে, ‘ইস্কুলডার এই অবস্থা দেইখ্যা আমার বালা লাগতাছে না। কোন দিন ইস্কুলডা ঠিক অইবো জানি না। পোড়া ইস্কুলে আমরা কীবায় লেহাপড়া করবাম।’

প্রধান শিক্ষক বেগম নুরুন্নাহার বলেন, আগুনে দোতলা ভবনটির ১০টি কক্ষের মেঝে ও দেয়াল মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ছাদে ফাটল দেখা দিয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ৫০ লাখ টাকার মতো হবে। তিনি ক্ষয়ক্ষতির এই তালিকা ইউএনওর কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন। তাঁর বিদ্যালয়ে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী রয়েছে।

ইউএনও অরুণ কৃষ্ণ পাল বলেন, তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও জেলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবেন। এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য নান্দাইল উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফজিলাতুন্নেছার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

Scroll to Top