কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছিল বোর্ড সদস্য শেখ মোহাম্মদ শফিউল আজমকে। কমিটি ৪ এপ্রিল সভা করে। সভায় সদস্যরা বোর্ডের অনুমোদনের জন্য সাতটি সুপারিশ দিয়েছেন। বোর্ড অনুমোদন দিলেই প্রণোদনা পাবেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সভার কার্যবিবরণীতে বলা হয়, চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগরে নিরবচ্ছিন্ন পানি সরবরাহে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। কর্ণফুলী পানির সরবরাহ প্রকল্প (ফেইজ ১ ও ২), শেখ রাসেল পানি শোধনাগার, মোহরা পানি শোধনাগারের মতো প্রকল্পগুলো দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনা করে আসছেন। এ ছাড়া চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রশাসনিক কাজে দক্ষতা, গ্রাহকসেবায় মানোন্নয়ন এবং সুপেয় পানি সরবরাহ করে কর্তৃপক্ষের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে আসছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন ধরে প্রণোদনা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন। ফলে দুই মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রণোদনা/সম্মানী হিসেবে প্রদান করা যেতে পারে। পাশাপাশি প্রণোদনা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি স্থায়ী নীতিমালা তৈরিরও সুপারিশ করে কমিটি।
সংস্থার এই সিদ্ধান্ত জানাজানি হওয়ার পর সমালোচনা তৈরি হয়েছে। গ্রাহকেরা বলছেন, ঋণের টাকায় একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। ঋণের কিস্তি শোধ করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে সংস্থাটিকে। গত বছর দুইবার পানির দাম বাড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে একলাফে ৩৮ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়। এ বছরও পানির দাম বাড়ানো হবে, এমন আলোচনা রয়েছে। ফলে এমন পরিস্থিতিতে প্রণোদনার পেছনে কোটি টাকা খরচ করা কোনোভাবেই কাম্য নয়।