ফার্নিচার বা আসবাব জগতে ‘বহু বাংলাদেশ লিমিটেড’ এখন এক বর্ণিল নাম। ‘বহু’ ক্রমশই বহুজনের কাছে কাঙ্খিত হয়ে উঠছে তার রুপ ও গুনের আকর্ষণীয় সমন্বয়ে। ২০১৭ সালে যাত্রা করে ‘বহু বাংলাদেশ লিমিটেড’।
এই স্বল্প সময়ের যাত্রায় দেশের ফার্ণিচার প্রিয়দের কাছে নিজেদের রুপ ও রঙ ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে এই প্রতিষ্ঠানটি। ‘বহু’ তাই হয়ে উঠেছে সবার কাছে প্রিয় সমধুর এক নাম। স্বল্প খরচে নিজ গৃহে মনের উচ্ছ্বাস আর আভিজাত্য দুই-এর সম্মিলন ঘটিয়েছে ‘বহু’। সন্দেহ নেই আধুনিক চিন্তায় মোড়ানো বহু’র প্রতিটি প্রোডাক্ট নান্দনিক, বৈচিত্র্যময় এবং আনন্দক্ষণের উৎস।
বসুন্ধরা কনভেনশন হলে এবারের ১৮তম জাতীয় ফার্নিচার মেলাতে ‘বহু’ নিয়ে এসেছে মেট্রো ২৩ কালেকশন। যার সাথে আবার যোগ হয়েছে ‘তেইশের বায়না’ কালেকশন। এ সম্পর্কে ‘বহু’ বলছে বহু দেশীয় এবং বাঙালি সংস্কৃতির অনুপ্রেরণায় গঠিত লাক্সারি ডিজাইনার ফার্নিচার ব্র্যান্ড সম্প্রতি ‘তেইশের বায়না’ নামে একটি আকর্ষণীয় ব্র্যান্ড ক্যাম্পেইন শুরু করেছে যেখানে স্থান পেয়েছে লিভিং রুমের বিভিন্ন ফার্নিচার নিয়ে করা নতুন মেট্রো ২৩ কালেকশন।
এই কালেকশন-এ রয়েছে পরিবারের সবার বিশ্রামের জন্য ‘ক্যাব্রিওল সোফা’ হোক, আধুনিক দম্পতির পছন্দের লাভসিট বিলাসবহুল ‘লাক্স টাক্সিডো’ এবং সারাদিনের ক্লান্তির পর আরাম ও প্রশান্তির ‘মেঘডুবি ক্লাউড সোফা’ ছাড়াও আরও অনেক অভূতপূর্ব সৃষ্টি।
এ সকল সিগনেচার সোফা ছাড়াও, নতুন মেট্রো ২৩ কালেকশনে আরও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কনসোল টেবিল, ক্যাবিনেট, নানাবিধ ডিজাইনের মডার্ন বুকশেলফ এমনকি প্রিয় পোষা বিড়ালের জন্য আরামদায়ক ফার্নিচারও। জাতীয় ফার্নিচার মেলায় উদ্বোধন করা এই কালেকশনটিকে ‘তেইশের বায়না’ ক্যাম্পেইনে ২৩ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত মূল্য ছাড় পাওয়া যাচ্ছে মেলাতে। তবে, এই অভাবনীয় মূল্যহ্রাসকেও বাঙ্গালীয়ানার ছোঁয়া দিয়েছে বহু কর্তৃপক্ষ। প্যাভিলিয়নে প্রদর্শিত যেকোনো ফার্নিচার ক্রয়ের ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা বুকিং দিলেই বৈশাখি মেলায় টিয়াপাখিকে দিয়ে ভাগ্যের চিঠি তোলার মতো কায়দায় ডালাতে করে অনেকগুলো লুকানো বায়না-কার্ড থেকে একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
একেকটি ‘বায়না-কার্ড’ একেকটি মূল্যহ্রাসের বায়না থাকার কারণে যেকোনো সময় যেকোনো গ্রাহকই নিজ নিজ ভাগ্য অনুযায়ী ঘর সাজানোর জন্য বহু’র নতুন কালেকশন খুব সহজেই হ্রাসকৃত মূল্যে নিতে পারছেন। একই সময়ে বহু ফ্ল্যাগশিপ স্টুডিওতে এবং অনলাইনে এই উপলক্ষে পূর্ববর্তী সকল কালেকশনের উপর ফ্ল্যাট ২৩ শতাংশ মূল্য-হ্রাসও অক্ষুন্ন রাখা হয়েছে।
এই ব্র্যান্ডের পেছনের দুই কর্ণধার হলেন দুই আর্কিটেক্ট নাবিলা নওরিন ও নাহিদ শারমিন। তাদের কাছ থেকে জানা যায়, ‘বহু’র ডিজাইন দর্শন হচ্ছে গ্রাহকদের এখনকার, আগের এবং ভবিষ্যতের জীবনের প্রয়োজন নিয়ে চিন্তা করা এবং এই চিন্তার প্রতিফলন ঘটানো- ফার্নিচারের গঠন, জায়গা, রং এবং আবরণে।
এই বছরের কালেকশনে আধুনিক দ্রুত শহুরে জীবনের সাথে অভিজাত জীবনের হাতছানি মেলাতে ‘বহু’ লিভিং রুম সলিউশন নিয়ে এসেছে যাতে ব্যস্ত জীবনে প্রশান্তির স্থান হয়ে ওঠে একেকটি সৃষ্টি।’ সোফার বিশেষত্ব নিয়ে আর্কিটেক্ট নাবিলা নওরিন বলেন, ‘প্রতিটি সোফার ডিজাইনের একটা গ্রামার আছে। যে গুলো নিয়ে আমরা প্রতিনিয়ত পড়াশোনা করি। গবেষণা করি। সেখান থেকেই ক্রেতাদের জন্য আমরা সবেচেয়ে মোহনীয় একটি প্রোডাক্ট উপহার দিতে সচেষ্ট থাকি। সুতরাং যত ধরনের প্রোডাক্ট দেখছেন এগুলোতে হঠাৎ করে তৈরি করিনি। চিন্তা করেই করেছি।’
রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরাতে ১৮তম জাতীয় ফার্নিচার মেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ফার্নিচার শিল্প মালিক সমিতি। মেলা শেষ হবে আজকেই। বহু বাংলাদেশ লিমিটেড, আক্তার ফার্নিচার্স লিমিটেড, নাভানা ফার্নিচার লিমিটেড, পারটেক্স ফার্নিচার ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড, হাইটেকসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করেছে।
প্রতিদিন মেলায় আসবাবপ্রেমীরা যাচ্ছেন নতুন নতুন ডিজাইনের সব আসবাবের খোঁজে। বেডরুম সেট থেকে শুরু করে ক্যাবিনেট, ডিনার ওয়াগন, সু বক্স, রকিং চেয়ার সবই পাওয়া যাচ্ছে এবারের মেলাতে। নানা আসবাবে মেলা যে বর্ণিল ও আনন্দময় হয়ে উঠেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। এই বছর বহু বাংলাদেশ লিমিটেড ক্রেতাদের জন্য আগের চাইতে অনেক বেশি আকর্ষণীয় আসবাব এসেছে।
মেট্রো ২৩ কালেকশন বহু’র স্টলে এবারের প্রধান আকর্ষণ। প্রাণবন্ত ও সজীব রঙের এই কালেকশনগুলো একেবারে আলাদা। ডিজাইন, রঙে ও নির্মাণে ‘বহু বাংলাদেশ লিমিটেড’-এর আসবাবগুলো যে একটু আলাদা তা বলতেই হবে। প্রতিটি আসবাবই বানানো হয়েছে ক্রেতার মনোজগতকে আরও আনন্দময় করার দুঢ় প্রত্যয়ে। ‘বহু বাংলাদেশ লিমিটেড’-এর কনসেপ্ট হলো-‘বহু রঙ্গে রঙিণ হোক জীবন’। একটি আসবাব যেনো ক্রেতার মনকে প্রফুল্ল রাখে, আসবাব যেনো ক্রেতার হ্নদয়কে আনন্দময় করে।
বহু’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আর্কিটেক্ট নাবিলা নওরিন আরও জানিয়েছেন, প্রতিটি মানুষের জীবন রাঙাতে রঙের গুরুত্ব অপরিসীম। রঙের নান্দনিক ব্যবহার সবাই পছন্দ করেন এবং আমোদিত হন। আর এ কারণেই সকল ধরনের আসবাবে কাঠের রঙের যে গতানুগতিক ব্যবহার ছিল সেটাকে পরিবর্তন করে ফার্নিচার তৈরিতে তারা নতুন এক ধারণার সম্মিলন করেছেন।
এই ধারণা আর বিশ্বাস নিয়েই ‘বহু বাংলাদেশ লিমিটেড’কে তারা আরও আসবাবপ্রেমীদের কাছে নিয়ে যেতে চান। উদ্যোক্তাদের ভাষায়- ‘বহু বাংলাদেশ লিমিটেড’-যত্নে, বহু রঙ্গে, বহুভাবে, বহু আঙ্গিকে, বহু জীবন সাজাতে।