নিউজিল্যান্ডের ভৌগোলিক অবস্থান ও টাইম জোনের কারণে প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বের প্রথম দিকের দেশগুলোর মধ্যে নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে দেশটি। ২০২৬ সালকে বরণ করে নিতে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরে আয়োজন করা হয় বর্ণাঢ্য ও চোখধাঁধানো আতশবাজির প্রদর্শনী।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, নিউজিল্যান্ড টাইম জোন (ইউটিসি+১৩ ও কিছু অংশে ইউটিসি+১২:৪৫) হওয়ায় বিশ্বের বহু দেশের আগেই এখানে নতুন বছর শুরু হয়। এই কারণে প্রতিবছর বৈশ্বিকভাবে নববর্ষ উদযাপনের সূচনা হয় নিউজিল্যান্ড থেকেই।
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে অকল্যান্ড শহরের প্রতীক স্কাই টাওয়ারকে কেন্দ্র করে আয়োজন করা হয় আলোকোজ্জ্বল উৎসব। প্রায় পাঁচ মিনিটের এই আতশবাজির প্রদর্শনীতে ২৪০ মিটার উচ্চতার স্কাই টাওয়ারের বিভিন্ন স্তর থেকে একযোগে প্রায় ৩ হাজার ৫০০টি আতশবাজি নিক্ষেপ করা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের ভিড়ে মুখর হয়ে ওঠে স্কাই টাওয়ার সংলগ্ন এলাকা।
তবে দেশটির সবচেয়ে আগে নতুন বছর শুরু হয় চ্যাথাম দ্বীপপুঞ্জে, যা নিউজিল্যান্ডের মূল ভূখণ্ডের চেয়েও এগিয়ে থাকা একটি আলাদা টাইম জোনে অবস্থিত।
এদিকে ভারী বৃষ্টি ও বজ্রঝড়ের পূর্বাভাসের কারণে নিউজিল্যান্ডের নর্থ আইল্যান্ডের বিভিন্ন এলাকায় ছোট পরিসরের কমিউনিটি উদযাপন বাতিল করা হয় বলে জানানো হয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে আগে নতুন বছর শুরু হয় প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ কিরিবাতির কিরিতিমাতি দ্বীপে, যা ইউটিসি-১৪ টাইম জোনে অবস্থিত। এর পরপরই নিউজিল্যান্ডসহ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে নতুন বছরের সূচনা হয়।
টাইম জোনের এই ভৌগোলিক সুবিধার কারণেই প্রতিবছর বিশ্ববাসীর কাছে নতুন বছরের প্রথম উদযাপনের প্রতীক হয়ে ওঠে নিউজিল্যান্ড।







