সামাজিক মাধ্যমের নিয়ম দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির ভিসা প্রত্যাখ্যান করল যুক্তরাষ্ট্র | চ্যানেল আই অনলাইন

সামাজিক মাধ্যমের নিয়ম দেখিয়ে একাধিক ব্যক্তির ভিসা প্রত্যাখ্যান করল যুক্তরাষ্ট্র | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

সামাজিক মাধ্যমসংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের অভিযোগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একজন সাবেক কমিশনারসহ অন্তত পাঁচজনের যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব ব্যক্তি ও সংশ্লিষ্ট সংগঠন দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোকে আমেরিকান দৃষ্টিভঙ্গি ও মতামত দমন করতে বাধ্য করার চেষ্টা করেছে।

আজ ২৪ ডিসেম্বর বুধবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, ভিসা প্রত্যাখ্যানের তালিকায় রয়েছেন ইউরোপীয় কমিশনের সাবেক শীর্ষ প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রক থিয়েরি ব্রেটন। স্টেট ডিপার্টমেন্ট তাকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ডিজিটাল সার্ভিসেস অ্যাক্ট (ডিএসএ)-এর ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে উল্লেখ করেছে। এই আইন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কোম্পানিগুলোর ওপর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন এই উগ্রপন্থী কর্মী এবং অস্ত্রধারী এনজিওগুলোর বিরুদ্ধে বহু বিদেশি রাষ্ট্র কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই তারা আমেরিকান বক্তা ও আমেরিকান কোম্পানিগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছে। বিশ্বব্যাপী সেন্সরশিপ-শিল্প কমপ্লেক্সের এজেন্টদের’ ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যার ফলে সাধারণত তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে।

ভিসা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও রয়েছেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক গ্লোবাল ডিসইনফরমেশন ইনডেক্স (জিডিআই)-এর প্রধান ক্লেয়ার মেলফোর্ড। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সারা বি রজার্স জিডিআই-এর বিরুদ্ধে ‘আমেরিকান বক্তৃতা ও সংবাদমাধ্যমকে সেন্সর ও কালো তালিকাভুক্ত করতে মার্কিন করদাতাদের অর্থ ব্যবহার’-এর অভিযোগ তুলেছেন। যদিও জিডিআই-এর একজন মুখপাত্র বিবিসিকে বলেছেন, এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা বাকস্বাধীনতার ওপর একটি কর্তৃত্ববাদী আক্রমণ।

এছাড়া অনলাইনে ঘৃণা ও ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে কাজ করা অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট (সিসিডিএইচ)-এর প্রধান ইমরান আহমেদকেও ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। রজার্স তাকে ‘মার্কিন নাগরিকদের বিরুদ্ধে সরকারকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী’ বলে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে সিসিডিএইচ-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিবিসি।

নিষেধাজ্ঞার তালিকায় জার্মান সংস্থা হেটএইডের আনা-লেনা ভন হোডেনবার্গ ও জোসেফাইন ব্যালনও রয়েছেন। বিবিসিকে দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, মানবাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ানো ব্যক্তিদের নীরব করার জন্য সেন্সরশিপের অভিযোগ ব্যবহার করে এমন একটি সরকারকে আমরা ভয় পাব না।

Scroll to Top