এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
সাউথ কোরিয়ায় ১ লাখ ২০ হাজারেরও বেশি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত ভিডিও ক্যামেরা হ্যাক করে যৌন শোষণমূলক কনটেন্ট তৈরি ও বিক্রির অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ ১ ডিসেম্বর সোমবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, অভিযুক্তরা আইপি (ইন্টারনেট প্রোটোকল) ক্যামেরার দুর্বল নিরাপত্তা এবং সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে সেগুলোতে প্রবেশ করতেন বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় পুলিশ সংস্থা।
সিসিটিভির তুলনায় সস্তা এই বিকল্প আইপি ক্যামেরা সাধারণত বাড়ির ইন্টারনেট নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত থাকে এবং নিরাপত্তা কিংবা শিশু ও পোষা প্রাণীর তদারকির জন্য ব্যবহার করা হয়। হ্যাক হওয়া ক্যামেরার অবস্থানের মধ্যে ছিল ব্যক্তিগত বসতবাড়ি, কেরাওকে রুম, পিলাটেস স্টুডিও এবং একটি স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের চেম্বার।
সাউথ কোরিয়ার ন্যাশনাল পুলিশ এজেন্সির বিবৃতিতে জানানো হয়, চার আসামি একে অপরের সঙ্গে সরাসরি যোগসাজশ না করেও স্বাধীনভাবে এ কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। একজন অভিযুক্ত ৬৩ হাজার ক্যামেরা হ্যাক করে ৫৪৫টি যৌন শোষণমূলক ভিডিও তৈরি করে, যা তিনি ৩ কোটি ৫০ লাখ উন (প্রায় ১২ হাজার ২৩৫ মার্কিন ডলার) মূল্যের ভার্চুয়াল সম্পদের বিনিময়ে বিক্রি করেন।
অন্যজন ৭০ হাজার ক্যামেরা হ্যাক করে ৬৪৮টি ভিডিও তৈরি করে, যা তিনি ১ কোটি ৮০ লাখ উন মূল্যে বিক্রি করেন। এই দুই অভিযুক্ত গত এক বছরে একটি বিদেশভিত্তিক অবৈধ ওয়েবসাইটে পোস্ট হওয়া এমন ভিডিওগুলোর প্রায় ৬২ শতাংশ সামগ্রী সরবরাহ করেছেন। পুলিশ ওয়েবসাইটটি বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে এবং বিদেশি সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে পরিচালকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে। এছাড়া তিনজন ক্রেতা ও ভিডিও দর্শককেও আটক করা হয়েছে।
ইতিমধ্যে ৫৮টি স্থানের ভুক্তভোগীদের সরাসরি গিয়ে বা অনলাইনে যোগাযোগ করে বিষয়টি জানানো হয়েছে এবং পাসওয়ার্ড পরিবর্তনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কনটেন্ট মুছে ফেলা ও ব্লক করার ক্ষেত্রেও সহায়তা চলছে।





