এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বেশকিছু নিরস্ত্র পুলিশ অফিসারকে মোতায়েন করেছে জার্মানি। স্থানীয় গণমাধ্যম বুধবার জানিয়েছে, পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে এবং স্থানীয় বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) তুরস্কের সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জেরুজালেমে অবস্থান করা পুলিশের দলটি স্থানীয় নিরাপত্তা বাহিনী পুনর্গঠনে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার ডব্রিন্ডট। তিনি আরও বলেন, এই কারণেই তিনি জেরুজালেমে ফেডারেল পুলিশের একটি উচ্চপদস্থ দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অফিসাররা সেখান থেকে ফিলিস্তিনি অঞ্চলগুলোতে পুলিশ এবং নিরাপত্তা বাহিনী পুনর্গঠনে সহায়তা করছেন এবং অফিস ফর সিকিউরিটিতে (ওএসসি) অবস্থান করছেন।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যানুযায়ী, চারজন সদস্য নিয়ে গঠিত দলটি প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পৌঁছায়। তাদের মূল দায়িত্ব হল- ফিলিস্তিনি বেসামরিক নিরাপত্তা বাহিনীকে শক্তিশালী করতে জার্মানির অবদান আরও বাড়ানো। গত ১৫ বছর ধরে এই ক্ষেত্রে জার্মান পুলিশের সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।
ইইউ মিশন
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মিশন ‘ইইউবিএএম রাফাহ’ ২০২৫ সালের শুরু থেকে আবারও সক্রিয় হয়েছে। এর প্রধান কাজ হলো, গাজা উপত্যকা ও মিসরের মধ্যে রাফাহ সীমান্ত ক্রসিংয়ে নিরপেক্ষ উপস্থিতি বজায় রাখা। যদিও বর্তমানে এটি স্ট্যান্ডবাই অবস্থায় আছে।
জার্মান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, দেশটি বর্তমানে এ মিশনে দু’জন পুলিশ কর্মকর্তা পাঠিয়েছে, যারা ইসরায়েলের রামাত গান এলাকায় অবস্থান করছেন। সেখান থেকেই মিশনের সমন্বয় ও প্রশাসনিক কাজ পরিচালিত হচ্ছে।
এছাড়া, ইইউপল কপস মিশনে জার্মান অংশগ্রহণ আগামী জানুয়ারিতে পুনরায় শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই মিশনের উদ্দেশ্য, পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনি পুলিশ ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। শেষবার এক জার্মান পুলিশ কর্মকর্তা গত অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত এই মিশনে নিয়োজিত ছিলেন।
এদিকে, গাজা উপত্যকায় চলমান স্থিতিশীল প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে বর্তমানে তিনজন জার্মান সামরিক কর্মকর্তা মোতায়েন রয়েছেন। জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই কর্মকর্তারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন সিভিল-মিলিটারি কো-অর্ডিনেশন সেন্টারের (সিএমসিসি) অধীনে কাজ করছেন। তারা ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় দায়িত্ব পালন করলেও পুরোপুরি নিরস্ত্র।





