বিশ্ববাজারে আবারো কমেছে স্বর্ণের দাম | চ্যানেল আই অনলাইন

বিশ্ববাজারে আবারো কমেছে স্বর্ণের দাম | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

আন্তর্জাতিক বাজারে স্বর্ণের দাম আবারো কমেছে। মার্কিন ডলার কিছুটা শক্তিশালী হওয়ায় এবং সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা হ্রাস পাওয়ায় স্বর্ণের দামে চাপ পড়ছে। যার প্রভাব দেশের বাজারেও পড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়।

মঙ্গলবার বিকেল ২টা ৩৯ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম শূন্য দশমিক ১ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৩ হাজার ৯৯৬ দশমিক ৬৮ ডলারে হয়। ডিসেম্বরে ডেলিভারির জন্য মার্কিন স্বর্ণ ফিউচারও শূন্য দশমিক ২ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৭ দশমিক ৭০ ডলার হয়েছে।

এদিকে বিনিয়োগকারীরা সুদের হার কমবে কিনা এ বিষয়ে জানতে এই সপ্তাহে মার্কিন অর্থনৈতিক নতুন ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করছেন।

সুইসকোট ব্যাংকের বিশ্লেষক কার্লো আলবার্তো দে কাসা বলেন, স্বর্ণ এখন ৪ হাজার ডলারের কাছাকাছি স্থিতিশীল আছে। পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে দাম বাড়বে নাকি আরও কমবে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।

তিনি আরও বলেন, মার্কিন ডলার কিছুটা শক্তিশালী হওয়ায় এবং সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা হ্রাস পাওয়ায় স্বর্ণের দামে চাপ পড়ছে। এছাড়া বন্ডের মুনাফা বেড়ে যাওয়া দাম কমার আরেকটি কারণ।

মার্কিন ডলার সূচক গত তিন মাসের সর্বোচ্চ হওয়ার পর কিছুটা দুর্বল হয়েছে। এতে অন্যান্য মুদ্রায় স্বর্ণের দাম কিছুটা কমে গেছে। অন্যদিকে ১০ বছর মেয়াদি মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের মুনাফা সোমবারের সর্বোচ্চ স্তর থেকে কিছুটা কমে গেছে।

সম্প্রতি ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছরের দ্বিতীয়বারের মতো সুদের হার কমালেও, চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল জানিয়েছেন এ বছর সুদের হার আরও কমবে কিনা তা নিশ্চিত না।

ধারণা করা হচ্ছে, ডিসেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভ আরও একবার সুদের হার কমাতে পারে। সুদের হার কমে ৬৫ শতাংশ হতে পারে, যা আগে ৯০ শতাংশের বেশি ছিল।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, নিম্ন সুদের হার ও অনিশ্চিত অর্থনৈতিক পরিবেশে সাধারণত স্বর্ণের দাম বাড়ে। সবাই এখন আগামী বুধবার প্রকাশিতব্য মার্কিন কর্মসংস্থান তথ্য ও আইএসএম পিএমআই রিপোর্টের দিকে নজর রাখছে।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৫৩ শতাংশ। তবে গত ২০ অক্টোবরের আগে স্বর্ণের দাম আউন্সপ্রতি ৪ হাজার ৩৮১ দশমিক ২১ ডলার ছিল। এরপর থেকে প্রায় ৪০০ ডলার কমেছে।

সিটি ইনডেক্সের বিশ্লেষক ফাওয়াদ রাজাকজাদা বলেন, গত কয়েক সপ্তাহে স্বর্ণের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক্যাল স্তর ভেঙে গেছে। তবে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ডলার অতিক্রম করার পরই বিক্রির চাপ বেড়েছে।

অন্যদিকে, স্পট সিলভার আউন্সপ্রতি ৪৮ দশমিক শূন্য চার ডলারে স্থিতিশীল ছিল। প্লাটিনাম শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ কমে ১ হাজার ৫৬১ দশমিক ১৫ ডলার হয়েছে এবং প্যালাডিয়াম ১ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ১ হাজার ৪১৭ দশমিক শূন্য ২ ডলারে পৌঁছায়।

দেশের বাজারে বর্তমানে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকা। পাশাপাশি ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ টাকা।

Scroll to Top