ঢাকা, ০১ নভেম্বর – বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে এক অমর নাম সালমান শাহ। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়ে কোটি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন তিনি। তার অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি কেউ। প্রায় তিন দশক পর তার অপমৃত্যুর মামলা স্থানান্তরিত হয়েছে হত্যা মামলায়। এরপর থেকেই সরগরম নেট দুনিয়া।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ করছেন অভিনেতার ভক্ত ও শোবিজ তারকারা। এদিকে শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নিজের ফেসবুকে এক পোস্টে অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ মন্তব্য করেছেন, সত্যিকার অর্থে সালমান শাহকে কেউ কখনো ভালোবেসেছিল কিনা তার সন্দেহ আছে।
অভিনেত্রীর কথায়, আমার ধারণা সালমান প্রচণ্ড ডিপ্রেশনে (মানসিক অসুস্থতা) ভুগছিলেন। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়া সম্ভব ছিল। কিন্তু সত্যিকার অর্থে তাকে কেউ কখনো ভালোবেসেছিল কিনা আমার সন্দেহ আছে। কারণ স্টারদের স্টারডম সবাই ভালোবাসে। তার একাকিত্ব তাতে কমে না।
সেই পোস্টে সালমানের মা ও স্ত্রীকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলেছেন প্রসূন। অভিনেতাকে কেউ নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসেননি উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, তার (সালমান শাহ) মা (নীলা চৌধুরী) কিংবা বউ (সামিরা হক) কেউ আদৌ নিঃস্বার্থভাবে তার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিল কিনা সন্দেহ। সফলতার চরমতম স্বাদ পাওয়ার পর তারা সব ছেড়ে চলে যায়। যারা অভিমানী।
এদিকে, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর মৃত্যুর পর রমনা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। তবে, গত ২০ অক্টোবর ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক বাদীপক্ষের করা রিভিশন মঞ্জুর করে মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২১ অক্টোবর রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন সালমান শাহর মামা মোহাম্মদ আলমগীর। মামলায় সালমান শাহর স্ত্রী সামীরা হকসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
এনএন





