আবারও জয়ের কাছে গিয়ে হার, বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায়

আবারও জয়ের কাছে গিয়ে হার, বিশ্বকাপ থেকে বাংলাদেশের বিদায়

জিতলে টিকে থাকবে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের সমীকরণ, হারলে বিদায়- এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচের একটা সময় জিততে বাংলাদেশের দরকার ছিল ৯ বলে ১০ রান। হাতে উইকেট ছিল ৬টি। অপরাজিত ছিলেন দুই সেট ব্যাটার অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও শারমিন আক্তার। তবুও কিনা হেরে গেল বাংলাদেশ!

তালগোল পাকানো ব্যাটিংয়ে শেষ ৯ বলে বাংলাদেশ তুলতে পারল মাত্র ২ রান, আর উইকেট হারাল ৫টি! নারী বিশ্বকাপের বাঁচা-মরার ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৭ রানে হেরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এই হারে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিশ্চিত হলো নিগার সুলতানা জ্যোতির দলের।

আগে বোলিং করে শ্রীলংকাকে ২০২ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। পরে জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালো না হলেও পরে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও শারমিন আক্তারের দারুণ দুটি ফিফটিতে জয়ের একদম কাছাকাছি গিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ পর্যন্ত জয়টা ধরা দিল না।

এর আগে এই বিশ্বকাপেই আরও দুই ম্যাচ জয়ের কাছে গিয়ে হেরেছে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে।

সোমবার (২০ অক্টোবর) নভি মুম্বাইতে শ্রীলংকার ২০২ রানের জবাব দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারেই রাবেয়া হায়দারকে হারায় বাংলাদেশ। সুবিধা করতে পারেননি টপ অর্ডারের অপর দুই ব্যাটার ফারজানা হক (৭) ও সুবহানা মুক্তারিও (৬৪)।

তবে এরপর অধিনায়ক নিগার সুলতানা ও শারমিন আক্তার হাল ধরেছেন দারুণভাবে। চতুর্থ উইকেটে ৮২ রান যোগ করেন দুজন। শারমিন চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লে জুটি ভাঙে। এরপর আর জুটিই হয়নি বাংলাদেশের ইনিংসে। নিয়মিত বিরতিতে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকা বাংলাদেশি ব্যাটাররা শেষ কয়েক মিনিটে রীতিমতো অবিশ্বাস্য ক্রিকেট খেলেছে।

৫০ ওভারে ১৯৫ রানে গুটিয়ে গেছে বাংলাদেশ। অধিনায়ক নিগার সুলতানা ৯৮ বলে ৬টি চারে ৭৭ রান করেছেন। শারমিন আক্তার ১০৩ বল খেলে ৪টি চার ১টি ছয়ে ৬৪ রান করেন।

এর আগে দারুণ বোলিং করেছে বাংলাদেশ নারী দলের  বোলাররা। ইনজুরির কারণে গত ম্যাচটা মিস করা পেসার মারুফা আক্তার আজ একাদশে ফিরে প্রথম বলেই উইকেট এনে দেন বাংলাদেশকে। তার দুর্দান্ত সুইংয়ে ইনিংসের প্রথম বলেই ফেরেন ভিষমি গুনারত্নে।

মারুফা অবশ্য আজও পুরো ইনিংস বোলিং করতে পারেননি। ৫.৪ ওভার বোলিং করার পর মাঠ থেকে উঠে গেছেন। প্রথম বলেই উইকেট হারানো শ্রীলংকা দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তোলেন ৭২ রান। ৪৬ রান করা লংকান অধিনায়ক চামিরা আতাপাত্তুকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন রাবেয়া খান।

তিনে নামা হাসিনি পেরেরা বেশ ভুগিয়েছেন বাংলাদেশকে। ৯৯ বলে ১৩টি চার ১টি ছয়ে ৮৫ রান করে শেষ পর্যন্ত স্বর্ণা আক্তারের বলে ফিরেছেন পেরেরা। মিডল অর্ডারে নীলক্ষীকা সিলভা ৩৮ বলে ২টি ছয় ১টি চারে ৩৭ রান করেন। বাকিদের মধ্যে কেউ সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি।

বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল স্বর্ণা আক্তার। ১০ ওভারে ২৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন রাবেয়া। রাবেয়া ৯ ওভারে ৩৯ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।

Scroll to Top