ভারী বৃষ্টিপাতে ভূমিধস ও বন্যায় নেপালে নিহত ৪৭

ভারী বৃষ্টিপাতে ভূমিধস ও বন্যায় নেপালে নিহত ৪৭

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট ভূমিধস এবং আকস্মিক বন্যায় নেপালে কমপক্ষে ৪৭ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার থেকে এই ভারী বৃষ্টিপাতে রাস্তা বন্ধ এবং সেতু ভেসে গেছে। সংকট মোকাবিলায় নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোমবার (৬ অক্টোবর) এবং মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) দেশব্যাপী সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে।

রোববার (৫ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটির সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর মুখপাত্র কালিদাস ধৌবোজি জানিয়েছেন, রোববার ভারতের পূর্ব সীমান্তবর্তী ইলাম জেলায় পৃথক ভূমিধসে ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।

নেপালের জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র শান্তি মাহাত বলেছেন, হিমালয়ের পূর্ব ও মধ্য অঞ্চলে অবিরাম বৃষ্টিপাত হয়েছে। একারণে শুক্রবার বন্যার পানিতে নয়জন নিখোঁজ এবং নেপালের অন্যান্য স্থানে বজ্রপাতে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধার প্রচেষ্টা চলছে।

স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের পূর্ব ভারতীয় পাহাড়ি অঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের পর ভূমিধসের কারণে কমপক্ষে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসাবশেষ থেকে সাতজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

কাঠমান্ডু বিমানবন্দরের মুখপাত্র রিঞ্জি শেরপা বলেছেন, শনিবার বিমানের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিত করা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো স্বাভাবিকভাবে চলছে।

দেশটির আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ রাজধানী কাঠমান্ডুর কিছু অংশসহ বাগমতী, গন্ডকী, লুম্বিনী এবং মাধেশ প্রদেশগুলোসহ প্রধান জনবহুল এলাকাগুলোতে রেড এলার্ট জারি করেছে। এছাড়া জলপথের কাছাকাছি বাসিন্দাদের অবিলম্বে সরে যেতে সতর্ক করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পরিবহন অবকাঠামো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ভূমিধসের ফলে কাঠমান্ডুর সাথে চীনের সীমান্তের সমস্ত প্রধান রুট বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যদিকে পূর্বাঞ্চলগুলিকে সংযুক্তকারী বিপি হাইওয়ে ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে।

স্থানীয় কর্মকর্তা ধর্মেন্দ্র কুমার মিশ্র জানান, কোশি ব্যারেজের ৫৬টি স্লুইসগেটই খুলে দেওয়া হয়েছে।বর্ষাকালে ভারতের বিহার রাজ্যে নদীটি নিয়মিতভাবে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি করে।

Scroll to Top