বলপ্রয়োগ করে হলেও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করবে ইসরায়েল – DesheBideshe

বলপ্রয়োগ করে হলেও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করবে ইসরায়েল – DesheBideshe

তেলআবিব, ৩০ সেপ্টেম্বর – ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার ‘কোনোভাবেই ঘটছে না।’ সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ইসরায়েল বলপ্রয়োগ করে হলেও ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করবে।

যুক্তরাষ্ট্র সফরের পর নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, যারা ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) গাজা থেকে সরিয়ে নেওয়ার চাপ দিচ্ছেন, তাদের দাবিতে তিনি নতি স্বীকার করবেন না।

নেতানিয়াহু বলেন, তারা বারবার বলছে, হামাসের শর্ত মেনে নাও, সব সেনা সরিয়ে নাও, যাতে হামাস আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে ও গাজা উপত্যকাকে পুনর্গঠন করতে পারে। কিন্তু তা কোনোভাবেই ঘটছে না।

তিনি আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার জন্য তার প্রস্তাবিত ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা হামাস প্রত্যাখ্যান করলে ইসরায়েলকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। নেতানিয়াহুর ভাষায়, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য সামরিক অভিযান সম্পন্ন করাই এখন মূল লক্ষ্য। সব দিক থেকে এটি ছিল একটি সফল সফর।

এদিকে, আরেকটি ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির কোনো চুক্তি হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত সেই ভিডিওতে তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, তিনি কি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রে সম্মত হয়েছেন? জবাবে নেতানিয়াহু বলেন, না, একেবারেই না।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা পরিকল্পনায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্র স্বীকৃতির কোনো ধারা নেই। বরং ইসরায়েল বলপ্রয়োগ করে হলেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করবে।

প্রসঙ্গত, ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার খসড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে, গাজা পুনর্গঠন এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের সংস্কার সম্পন্ন হলে ভবিষ্যতে ফিলিস্তিনি আত্মনিয়ন্ত্রণ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার একটি গ্রহণযোগ্য পথ তৈরি হতে পারে।

সূত্র: জাগো নিউজ
এনএন/ ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫



Scroll to Top