ভারত যদি যুদ্ধ ঘোষণা করে, পাকিস্তানের পাশে থাকবে সৌদি আরব

ভারত যদি যুদ্ধ ঘোষণা করে, পাকিস্তানের পাশে থাকবে সৌদি আরব

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

ভারত যদি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করে, তাহলে সৌদি আরব পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াবে এমনটাই জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ।

সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি সৌদি আরব ও পাকিস্তানের মধ্যে সই হওয়া চুক্তিতে কৌশলগত পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে।

জিও টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খাজা আসিফ ন্যাটো-এর অনুচ্ছেদ ৫-এর সঙ্গে এই চুক্তির তুলনা করেন, যেখানে বলা হয়েছে একটি সদস্য দেশের উপর হামলা হলে তা পুরো জোটের উপর হামলা হিসেবে বিবেচিত হবে।

তবে তিনি স্পষ্ট করে জানান, এই চুক্তিটি আক্রমণাত্মক নয় বরং প্রতিরক্ষামূলক। তিনি বলেন, যদি সৌদি আরব বা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হয়, তাহলে আমরা যৌথভাবে প্রতিরোধ করব।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি জানান, আমাদের এই চুক্তিকে কোনো আক্রমণের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার পরিকল্পনা নেই।তবে যদি কোনো পক্ষ হুমকির মুখে পড়ে, তখন এই চুক্তি কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।

পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আরও দাবি করেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক ক্ষমতাও এই চুক্তির আওতায় থাকবে। যদিও পাকিস্তানের পারমাণবিক নীতিতে বলা হয়েছে, এই অস্ত্র শুধু ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত। তবুও তিনি বলেন, এই চুক্তির আওতায় আমাদের সক্ষমতা সম্পূর্ণভাবে প্রযোজ্য হবে।

তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান সবসময় তার পরমাণু স্থাপনাগুলিতে আন্তর্জাতিক পরিদর্শনের সুযোগ দিয়েছে এবং কখনও কোনো চুক্তি লঙ্ঘন করেনি।

একজন উচ্চপদস্থ সৌদি কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, এটি একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষামূলক চুক্তি, যা সব ধরনের সামরিক উপকরণকে অন্তর্ভুক্ত করে।

এই পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তিটি পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সাম্প্রতিক রিয়াদ সফরের সময় সই হয়। চুক্তির একটি মূল ধারায় উল্লেখ আছে, যেকোনো একটি দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন পুরো দুই দেশের বিরুদ্ধে আগ্রাসন হিসেবে বিবেচিত হবে।

এই চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকার জানিয়েছে, এটি দুই দেশের দীর্ঘদিনের সহযোগিতার একটি আনুষ্ঠানিক রূপমাত্র এবং এর রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক প্রভাব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই চুক্তি একদিকে পাকিস্তানকে আর্থিক সহায়তা দেবে, অপরদিকে সৌদি আরবকে একটি ‘পারমাণবিক প্রতিরক্ষা ছাতা’ দেবে।

এতে পশ্চিম এশিয়ার একমাত্র পারমাণবিক ক্ষমতাসম্পন্ন দেশ ইসরায়েলও উদ্বেগের সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। ইরানও এই বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Scroll to Top