এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
নেপালের নবনিযুক্ত অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি জানান, আগামী বছরের ৫ মার্চ নির্বাচনের পর নতুন সরকারের কাছে তিনি ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন। ৬ মাসের বেশি তিনি এই পদে থাকবেন না।
রোববার ১৪ সেপ্টেম্বর সংবাদমাধ্যম বিবিসি এই তথ্য প্রকাশ করে।
সুশীলা কার্কি শুক্রবার শপথ নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো বক্তব্যে বলেন, আমি এই পদের জন্য আগ্রহী ছিলাম না। রাস্তা থেকে আসা কণ্ঠস্বরই আমাকে এই প্রস্তাব গ্রহণ করতে বাধ্য করেছে।
নেপালে দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভে ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর নেপালের সরকার পতনের মাধ্যমে তিনি এই পদে নিযুক্ত হয়েছেন।
নেপালে আন্দোলনকারী নেতাদের সাথে একটি চুক্তির পর কার্কি শপথ গ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, আমাদের এই প্রজন্মের চিন্তাভাবনা অনুসারে কাজ করতে হবে। তারা যা দাবি করছে তা হল দুর্নীতির অবসান, সুশাসন এবং অর্থনৈতিক সমতা।
গত ৮ সেপ্টেম্বর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের উপর নিষেধাজ্ঞার ফলে নেপালে গণবিক্ষোভ শুরু হয় এবং দুই দিন ধরে চলমান বিক্ষোভ বিশৃঙ্খলা ও সহিংসতায় রূপ নেয়। এসময় রাজনীতিবিদদের বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয় এবং সংসদে আগুন লাগানো হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, এই অস্থিরতায় মৃতের সংখ্যা এখন ৭২ জনে পৌঁছেছে, যার মধ্যে তিনজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন।
অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী রবিবার বলেন, আমি লজ্জিত। যদি এই গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো ধ্বংসকারীরা নেপালি হয়, তাহলে তাদেরকে কীভাবে নেপালি বলা যায়?
সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে একজন পরিষ্কার ভাবমূর্তিসম্পন্ন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তবে তিনিও বিতর্ক থেকে মুক্ত নন।
কার্কি এবং তার মন্ত্রিসভা বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, সংসদ এবং সহিংসতায় ধ্বংস হওয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন পুনর্নির্মাণসহ একাধিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন। পাশাপাশি যারা পরিবর্তন চান, সেই বিক্ষোভকারীদের এবং নেপালের অন্যান্য যারা ভীত, যে এই তরুণ গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক শৃঙ্খলা লাইনচ্যুত হতে পারে, তাদের সবাইকে আশ্বস্ত করাও একটা বড় চ্যালেঞ্জ।