কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে টিকে থাকার উপায় প্রকাশ করলেন হিন্টন | চ্যানেল আই অনলাইন

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে টিকে থাকার উপায় প্রকাশ করলেন হিন্টন | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

এআই-এর গডফাদার” হিসেবে পরিচিত জিওফ্রে হিন্টন আশঙ্কা করেন যে তার তৈরি প্রযুক্তি মানবতাকে ধ্বংস করে দিতে পারে এবং “টেক ভাইয়েরা” এটি বন্ধ করার জন্য ভুল পন্থা অবলম্বন করছেন। তবে এই অতীতে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এআই মানুষকে ধ্বংস করে দেওয়ার সম্ভাবনা ১০% থেকে ২০%।

হিন্টন যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসে মঙ্গলবারে একটি শিল্প সম্মেলনে এআই৪-এ প্রযুক্তি কোম্পানিগুলি কীভাবে আজ্ঞাবহ  এআই সিস্টেমের ওপর মানুষ প্রভাবশালী থাকার চেষ্টা করছে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন।

তিনি বলেন, এআই মানুষের চেয়ে অনেক বেশি স্মার্ট হতে চলেছে। মানুষের কাছে এআই-কে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করার পরিবর্তে অতি বুদ্ধিমান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে টিকে থাকার উপায় বের করতে হবে। উপায় হিসেবে হিন্টন বলেছেন, এআই মডেলগুলোতে “মাতৃত্বের প্রবৃত্তি” তৈরি করা, যাতে প্রযুক্তি মানুষের চেয়ে আরও শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান হয়ে উঠলেও তারা সত্যিই মানুষের যত্ন নেয়।

হিন্টন বলেন, এআই সিস্টেমগুলো খুব দ্রুত দুটি উপ-লক্ষ্য তৈরি করবে, যদি তারা বুদ্ধিমান হয়: একটি হল বেঁচে থাকা… (এবং) অন্যটি হল আরও নিয়ন্ত্রণ অর্জন করা। তিনি বলেন, বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, যেকোনো ধরনের এজেন্টিক এআই বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে।

হিন্টন যুক্তি দিয়েছিলেন, মানুষের প্রতি সহানুভূতির অনুভূতি জাগানো গুরুত্বপূর্ণ। সম্মেলনে, তিনি উল্লেখ করেছিলেন- মায়েদের তাদের বাচ্চাদের যত্ন নেওয়ার জন্য প্রবৃত্তি এবং সামাজিক চাপ থাকে।

হিন্টন বলেন, সঠিক মডেল হল আমাদের কাছে একমাত্র মডেল যেটি, একটি বেশি বুদ্ধিমান জিনিস অপর একটি কম বুদ্ধিমান জিনিস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ একজন মা তার শিশুর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তবে এটি টেকনিক্যালি কীভাবে করা যেতে পারে তা তার কাছে স্পষ্ট নয়। এটি নিয়ে গবেষকরা কাজ করছেন বলে জানান তিনি।

সবাই হিন্টনের মা এআই পদ্ধতির সাথে একমত নন। অনেক বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন, এআই আগামী বছরগুরোতে সুপারইন্টেলিজেন্স অর্জন করবে, যা কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা বা এজিআই নামেও পরিচিত।

ফেই-ফেই লি, যিনি এই ক্ষেত্রে অগ্রণী কাজের জন্য “এআই-এর গডমাদার” নামে পরিচিত, বুধবার সিএনএনকে বলেছেন, তার দীর্ঘদিনের বন্ধু হিন্টনের সাথে সম্মানের সাথে একমত নন।

তবে এটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিশেষ করে ক্যান্সারের মতো চিকিৎসায় আরও দ্রুত করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন হিন্টন। তিনি এও বলেন যে, এটি মানুষকে অমরত্ব অর্জনে সহয়তা করবে না।

অবশেষে তিনি নিরাপত্তার কথা না ভেবে শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে কাজ করার জন্য অনুতপ্ত বলেও জানান।

Scroll to Top