স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারিয়ে নিজেদের কাজটা সেরে রেখেছিলেন তারা। দিনের অন্য ম্যাচে তুর্কিমেনিস্তানের বিপক্ষে বাহরাইন জিতলে কিংবা ড্র করলেই নিশ্চিত হতো বাংলাদেশের এশিয়ান কাপে খেলা। বাহরাইন-তুর্কিমেনিস্তান ম্যাচ ড্র হওয়ায় ইতিহাস গড়ে এশিয়ান কাপের মূল পর্বে পৌঁছে গেছেন ঋতুপর্ণা চাকমারা। প্রথমবারের মতো এই টুর্নামেন্ট খেলতে যাওয়া বাংলাদেশ দলের সামনে এখন ফিফা নারী বিশ্বকাপে খেলার হাতছানি!
এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের প্রথম ম্যাচে বাহরাইনকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে শুভ সূচনা করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী মিয়ানমার। স্বাগতিক দেশটিকে ২-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ সি এর শীর্ষে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। বাহরাইন নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে তুর্কিমেনিস্তানের সঙ্গে ড্র করায় গ্রুপের শীর্ষস্থান নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের।
আর এতেই নতুন ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো নারী এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলবেন তারা। একই সঙ্গে প্রথমবারের মতো ফিফা নারী বিশ্বকাপে খেলার দরজাও খুলে যেতে পারে তাদের জন্য।
২০২৬ সালের এশিয়ান কাপে খেলবে ১২টি দেশ। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশের মেয়েরা। গ্রুপ পর্বের বাধা পেরিয়ে বাংলাদেশ যদি কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে যায়, তাহলেই বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হবে ঋতুপর্ণাদের। ১২ দলের টুর্নামেন্ট হওয়ায় গ্রুপে তৃতীয় হয়েও থাকবে কোয়ার্টার ফাইনালে যাওয়ার সুযোগ।
কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে সেরা ৬ দল সরাসরি খেলবে পরবর্তী নারী বিশ্বকাপে। বাকি দুই দলের সামনেও থাকছে বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ। তারা আন্তমহাদেশীয় প্লে-অফ খেলবে বিশ্বকাপের টিকিট পাওয়ার জন্য।