ভারতের দিল্লিতে ১৯ বছর বয়সী এক মেয়ে প্রেমিকের বিয়েতে অস্বীকৃতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে এসিডপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। মেয়েটির পরিবার জানিয়েছে, তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা কম।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ জানায়, সাত বছর ধরে প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে থাকলেও একাধিকবার আশ্বাস দেয়ার পর শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে রাজি হয়নি প্রেমিক রেহান। বুধবার ২ জুলাই এ ঘটনায় এসিডপান করলে মেয়েটিকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, রেহান নামের ওই ছেলে নিজের পরিচয় গোপন করে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেছিলেন। এছাড়া দুইবার জোর করে মেয়েটির গর্ভপাত করিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
ভসন্তকুঞ্জ দক্ষিণ থানায় দায়ের করা এফআইআরে মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেন, দিল্লি বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড স্টাফ হিসেবে কর্মরত রেহান শংকর ক্যাম্পের বাসিন্দা। সাত বছর আগে তিনি মেয়ে ও তাদের পরিবারকে নিজের প্রকৃত পরিচয় জানাননি।
তিনি আরও জানান, রেহান প্রায়ই হাতে ‘কালাওয়া’ (হিন্দুদের পবিত্র সুতোর বাঁধন) বেঁধে নিজেকে হিন্দু প্রমাণের চেষ্টা করতেন।
পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, প্রেমের সম্পর্কের শুরুর দিকে রেহান মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
মেয়েটির বাবা বলেন, মেয়ের বয়স ১৮ হলে বিয়েতে রাজি ছিলেন তিনি। এ বছর মেয়েটির বয়স ১৯ হওয়ায় রেহানের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায়।
এফআইআরে মেয়েটির বাবা অভিযোগ করেন, রেহান আমার মেয়েকে ব্ল্যাকমেইল করত, ভিডিও ফাঁসের হুমকি দিত। দুইবার জোর করে গর্ভপাত করিয়েছে। ওর শোষণের শিকার হয়েছে আমার মেয়ে।
তিনি আরও বলেন, ১৮ জুন যখন কেউ বাসায় ছিল না, তখন আমার মেয়ে এসিডপান করে। আমি ন্যায়বিচার চাই।
দক্ষিণ-পশ্চিম জেলার উপপুলিশ কমিশনার অমিত গোয়েল রেহানের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।