অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তৃতীয় আম্পায়ারের বেশ কয়েকটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টকের সেইসব সিদ্ধান্ত নিয়ে জোর গলায় প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কোচ ড্যারেন স্যামি। আর সেই প্রতিবাদ করাতেই বড় শাস্তির মুখে পড়েছেন তিনি।
বার্বাডোজ টেস্টের ২য় দিনেই দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার হোল্ডস্টকের কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন স্যামি। দিনের খেলা শেষ হওয়ার পর ম্যাচ রেফারি জাভাগাল শ্রীনাথের সঙ্গে দেখা করে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া নিয়েও ব্যাখ্যা চেয়েছিলেন তিনি।
দ্বিতীয় দিনের খেলার দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে যাওয়াতেই চটেছিলেন স্যামি। রস্টন চেজের এলবিডব্লিউ ও শাই হোপের ক্যাচ; বিতর্কিত দুই সিদ্ধান্তই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিপদে ফেলেছি। আর এতেই টিভি আম্পায়ার হোল্ডস্টকের আম্পায়ারিং নিয়ে স্যামির মনে সন্দেহ জাগে, অভিযোগ জানান শ্রীনাথকে।
৪১ বছর বয়সী স্যামি জানিয়েছিলেন, ‘এই নির্দিষ্ট আম্পায়ারকে (হোল্ডস্টক) ঘিরে আমার মনে প্রথম সন্দেহ আসে ইংল্যান্ড সফর থেকেই। এটা খুবই হতাশাজনক। আপনি এমন অবস্থায় যেতে চান না, যেখানে নির্দিষ্ট কোনো আম্পায়ারকে নিয়ে সন্দেহ জন্মায়। তবে যখন একের পর এক সিদ্ধান্ত যখন একই দলের বিপক্ষে যায়, তখন প্রশ্ন ওঠেই। আমি জানি, তিনি (হোল্ডস্টক) এই সিরিজের জন্য এখানেই আছেন। কিন্তু আপনি পরের কোনো টেস্ট ম্যাচ এমন সন্দেহ নিয়ে খেলতে চাইবেন না।’
আম্পায়ারকে নিয়ে এমন অভিযোগে আইসিসির আচরণবিধির ২.৭ ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে ম্যাচ ফির ১৫ শতাংশ জরিমানার পাশাপাশি একটি ডিমেরিট পয়েন্টও পেয়েছেন স্যামি। এই শাস্তি মেনেও নিয়েছেন তিনি।
স্যামির মতো আম্পায়ারিং নিয়ে প্রতিবাদ জানালেও শাস্তি হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক চেজের। ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরের দুই টেস্টে হোল্ডস্টক মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।