গল টেস্ট: নাঈমের ৫ উইকেট, লিড পেল বাংলাদেশ

গল টেস্ট: নাঈমের ৫ উইকেট, লিড পেল বাংলাদেশ

গল টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের বিশাল সংগ্রহের জবাব ভালো ভাবেই দিয়েছে শ্রীলংকা। বাংলাদেশের ৪৯৫ রানের জবাব দিতে নেমে আজ শেষ পর্যন্ত ৪৮৫ রানে থেমেছে শ্রীলংকা। অর্থাৎ গলে ১০ রানের লিড পেয়েছে বাংলাদেশ।

দুই দিন মিলিয়ে লংকানরা যেভাবে ব্যাটিং করছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ লিড নাও পেতে পারে। তরুণ স্পিনার নাঈম হাসান এই অনিশ্চয়তা ঘুচিয়ে ছোট হলেও লিড এনে দিয়েছেন। পাঁচ উইকেট পেয়েছেন নাঈম। তিন উইকেট পেয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ।

শুক্রবার (২০ জুন) গল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩৬৮ রান নিয়ে আজ চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে শ্রীলংকা। দিনের শুরুর ঘন্টায় দারুণ দুটি ক্যাচ নিয়ে শ্রীলংকাকে চাপে ফেলেন বাংলাদেশের উইকেটরক্ষক লিটন দাস। লংকানদের দলীয় ৩৭৭ রানের মাথায় ধনঞ্জয়া ডি সিলভার উইকেট তুলে নিয়েছেন নাঈম হাসান।

নাঈমের করা বলটা লেগ স্ট্যাম্পে পরে বেরিয়ে যাচ্ছিল। ধনঞ্জয়া তাতে ব্যাট চালাতে গেলে বলে-ব্যাটে করতে পারেননি। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে বেরিয়ে যায়। লিটন দাস দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়ে দেন ৩৬ বলে ১৯ রান করা সিলভাকে। খানিক বাদে কুশল মেন্ডিসকে ফিরিয়েছে বাংলাদেশ।

সেখানেও লিটনের বড় অবদান। পেসার হাসান মাহমুদের লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে পরা বলটি বেরিয়েই যাচ্ছিল। কুশাল মেন্ডিস কী যেন মনে করে ব্যাট চালাতে গেলেন। বল  তার ব্যাটের কানায় লেগে আরও অনেকটা দূর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। লিটন দাস ঝাঁপিয়ে পরে ক্যাচ তালুবন্দি করেছেন।

তবে পরপর দুই উইকেট হারানো শ্রীলংকা এরপর আবারও ঘুরে দাঁড়ায়। মিলনে রত্নানায়েকেকে নিয়ে এরপর আবারও একটা বড় জুটি গড়েছেন কামিন্ডু মেন্ডিস। তবে লাঞ্চ বিরতির পর নাঈম হাসানের স্পিনের সামনে দাঁড়াতে পারেনি শ্রীলংকা।

লাঞ্চের পরপরই পেসার হাসান মাহমুদের বল স্ট্যাম্পে টেনে এনে বোল্ড হয়েছেন মিলান রত্নানায়েকে (৩৯)। এর পরের গল্পটা শুধুই নাঈম হাসানের। গলার কাঁটা হয়ে থাকা কামিন্ডু মেন্ডিসকে দারুণ এক ডেলিভারিতে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ বানান নাঈম। ওই ওভারেরই শেষ বলে আরেক উইকেট পেয়েছেন নাঈম। থারিন্দু রত্নায়েকে সরাসরি বোল্ড করেন নাঈম।

খানিক বাদে আসিথা ফার্নান্দোকেও বোল্ড করে লংকানদের গুটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি নিজের পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন নাঈম। ৪৮৫ রানে গুটিয়ে যায় শ্রীলংকা। ১২১ রান খরচ করে ৫ উইকেট নেন নাঈম। পেসার হাসান মাহমুদ ৭৪ রান খরচায় নেন তিন উইকেট। বাকি দুই উইকেট তাইজুল ইসলাম আর মুমিনুল হকের।

Scroll to Top