বিশ্বের অন্যতম সেরা বিদ্যাপীঠ হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এই সিদ্ধান্তের সাময়িক স্থগিতাদেশ দিয়েছে মার্কিন আদালত।
শনিবার (২৪ মে) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আদালতের এই সাময়িক স্থগিতাদেশ এসেছে হার্ভার্ডের দায়ের করা একটি মামলার পর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়টি বলছে যে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নিষিদ্ধ করা প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত আইন এবং বাকস্বাধীনতার ‘স্পষ্ট লঙ্ঘন’।
হার্ভার্ডের অভিযোগ, এ নীতি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বৃহত্তর চক্রান্তের অংশ। কারণ, হার্ভার্ড তাদের শিক্ষাগত স্বাধীনতা বিসর্জন দিতে রাজি হয়নি। মার্কিন আদালতের এ আদেশের ফলে হাজার হাজার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সাময়িক স্বস্তি পেয়েছেন। এ আদেশ বলবৎ থাকলে তাদের অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে যেতে হতো।
হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের ওই নীতিকে মার্কিন সংবিধান ও অন্যান্য ফেডারেল আইনের ‘প্রকাশ্য লঙ্ঘন’ বলে অভিহিত করেছিল। তারা বলেছে, এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাত হাজারের বেশি ভিসাধারীর ওপর ‘তাৎক্ষণিক ও ধ্বংসাত্মক প্রভাব’ পড়বে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, হার্ভার্ড ইহুদিবিদ্বেষ দমনে যথেষ্ট পদক্ষেপ নেয়নি এবং তাদের নিয়োগ ও ভর্তি নীতিতে পরিবর্তন আনার দরকার ছিল। তবে এ অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়টি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছে।
