বৃষ্টির পানি পৃথিবীকে সবুজ করে, ফল–ফসল উৎপন্ন করে এবং প্রাণীদের জীবন ধারণে অপরিহার্য ভূমিকা পালন করে। এটি আল্লাহর সৃষ্টি ও রিজিক প্রদানের প্রক্রিয়ার একটি অলৌকিক নিদর্শন। (তাফসির ইবনে কাসির, সুরা মুমিনুনের ব্যাখ্যা)
নবীদের কাহিনি
সুরায় নুহ (আ.), হুদ (আ.), সালেহ (আ.), মুসা (আ.), হারুন (আ.) ও ঈসা (আ.)–এর কাহিনি উল্লেখ করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নুহ (আ.)–এর সম্প্রদায় তাঁকে অবিশ্বাস করায় তাদের প্লাবনের মাধ্যমে নিমজ্জিত করা হয়। এই কাহিনিগুলো সত্য প্রত্যাখ্যানের পরিণতি ও নবীদের প্রতি আনুগত্যের গুরুত্ব শিক্ষা দেয়। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তারপর আমি নুহর পরে অনেক সম্প্রদায়ের মধ্যে রাসুল প্রেরণ করেছি। তারা তাদের কাছে স্পষ্ট প্রমাণ নিয়ে এসেছিল, কিন্তু তারা এমন কিছুতে বিশ্বাস করেনি, যাকে তারা পূর্বে মিথ্যা বলেছিল।’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত: ৪৪)
কিয়ামতের ভয়াবহতা ও ক্ষমাপ্রার্থনা
সুরায় কিয়ামতের দিনের ভয়াবহতা বর্ণনা করে বিশ্বাসীদের আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এটি মানুষকে তাদের কর্মের প্রতি সচেতন হতে ও আল্লাহর রহমত অন্বেষণে তৎপর থাকতে উৎসাহিত করে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘বলো, হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের ওপর অত্যাচার করেছ, আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সব গুনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু।’ (সুরা মুমিনুন, আয়াত: ১১৮)