নতুন করে বিশাল শুল্ক আরোপ এড়াতে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য সীমিত করার জন্য অন্য দেশকে চাপ দিচ্ছে ওয়াশিংটন। পাল্টা ব্যবস্থা নিচ্ছে চীনও। চীন বাণিজ্য চুক্তি করে যুক্তরাষ্ট্রকে ‘তুষ্ট’ করতে চাওয়া দেশগুলোর বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।
ব্লুমবার্গের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই মাসের শুরুতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা করা শুল্ক এড়াতে চাইলে দেশগুলোকে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণের জন্য চাপ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, নতুন মার্কিন শুল্ক কার্যকর না করা সাপেক্ষে কয়েক ডজন দেশ তাদের বাণিজ্য সম্পর্ক পুনর্বিবেচনা করতে চায়।
চীন ছাড়া অন্য সব দেশের জন্য নতুন শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের রপ্তানি করা পণ্যে আরোপ করা হয়েছে মোট ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত মার্কিন শুল্ক। বেইজিংও আমদানি করা মার্কিন পণ্যের ওপর ১২৫ শতাংশ শুল্ক বাড়িয়ে পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে।
চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তুষ্টি শান্তি আনবে না এবং আপসকে সম্মান করা হবে না। অন্যান্য দেশগুলোকে “অন্যদের ক্ষতি করে সাময়িক স্বার্থপরতা” করার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছে চীন। বিবৃতিতে হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে, এমন কাজ কোনো দেশ করলে, চূড়ান্তভাবে সেটা দুই দিক থেকেই ব্যর্থ হবে এবং অন্যদের ক্ষতি করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, স্বার্থের বিনিময়ে (যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) কোনও চুক্তিতে পৌঁছানো যে কোনও পক্ষের (দেশের) দৃঢ় বিরোধিতা করে চীন। এইভাবে কাজ করা যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে “দৃঢ়ভাবে পারস্পরিক প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ” করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করে দিয়েছে চীন।