বুয়েনোস আইরেস, ১৮ এপিল – গোল, শিরোপা অর্জন, ভক্ত-সমর্থকদের ভালোবাসা—কোনো কিছুরই তো অভাব নেই লিওনেল মেসির। বিশ্বের যে মাঠেই তিনি খেলতে যান, তাঁকে দেখতে দর্শকেরা উন্মুখ হয়ে থাকেন। ‘মেসি ১০’ নম্বর জার্সি পরে মাঠে দর্শকদের দেখা যায় অহরহ।
তারকা ফুটবলার মেসির তিন ছেলে থিয়াগো, মাতেও, চিরোকে নিয়ে প্রায় সময়ই চলে আলোচনা। বাবার দেখানো পথেই হেঁটে কিংবদন্তি হবে কি না, সেটা সময়ই বলে দেবে। কদিন আগে এক ফুটবল অনুষ্ঠানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিন ছেলের কার কী গুণ আছে, সেটা নিয়ে মেসি কখা বলেছেন। কে সেরা, আর্জেন্টাইন তারকা ফুটবলার নির্দিষ্ট কারও নাম বলেননি। মেসি বলেছেন, ‘ফুটবল নিয়েই সারা দিন থাকে তারা। প্রতিদিন অনুশীলন করে ও ম্যাচ খেলে। আমিও উপভোগ করি সেটা। একজনকে সেরা বললে পরে তারা বলবে যে আমি কেন তার (তিন ছেলে) নাম বললাম। মজার ব্যাপার হচ্ছে তারা একই অবস্থানে খেলতে চায়। তিনজনই ১০ নম্বর জার্সি পরতে চায়।’
মেসির বড় ছেলে থিয়াগোর বয়স ১২ বছর। বাবার সঙ্গে প্রায়ই ইন্টার মায়ামির অনুশীলনে আসে থিয়াগো। ১২ বছর বয়সী মেসির এই ছেলে ইন্টার মায়ামির বয়সভিত্তিক দলে খেলছে। থিয়াগো সম্পর্কে মেসি বলেন, ‘থিয়াগো চিন্তাশীল এবং একজন মিডফিল্ডার।’ এ বছরের সেপ্টেম্বরে ১০ বছর পূর্ণ করবে মাতেও। মেজ ছেলেকেও প্রায়ই মাঠে মেসির সঙ্গে দেখা যায়। মাতেওকে নিয়ে মেসি বলেন, ‘মাতেও ফরোয়ার্ড। সে গোল করতে পছন্দ করে। বুদ্ধিমান খেলোয়াড়।’ আর সবার ছোট সাত বছর বয়সী চিরোকে নিয়ে মেসির ভাষ্য, ‘চিরো তো আরও বিস্ফোরক। সবাইকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পছন্দ করে।’
২০২৩ সালে পিএসজি থেকে ইন্টার মায়ামিতে যান মেসি। যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবে গিয়েই জেতেন লিগস কাপের শিরোপা। গত বছর পেয়েছেন সাপোর্টার্স শিল্ডের পুরস্কার। তবে চোটে পড়ায় এ বছর মায়ামিতে নিয়মিত হতে পারেননি তিনি। ক্লাবটির হয়ে কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপ, মেজর লিগ সকার (এমএলএস)—এ বছর এই দুই টুর্নামেন্টে পাঁচটি করে ম্যাচ খেলেছেন। ১০ ম্যাচে করেছেন ৮ গোল। অ্যাসিস্ট করেছেন ৩ গোলে।
সূত্র: আজকের পত্রিকা
আইএ/ ১৮ এপিল ২০২৫