স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট
১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৪৮ | আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৮:৪৯
মাত্র ছয় মাসের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার, তাতেই আমূল বদলে গেল সাকিব আল হাসানের জীবন। ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে এসে ব্রাত্যই হয়ে গেছেন জাতীয় দলে। তাকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে এসেছে বাংলাদেশ। অথচ সাকিব চেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে ধীরে-সুস্থে অবসরের দিকে এগিয়ে যেতে। সেটা আপাতত অনিশ্চিত এক যাত্রা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে মাগুরা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ক্রিকেটের ব্যস্ততায় নিজের নির্বাচনী আসনে সময় দিতে পারেননি সেভাবে। সম্প্রতি শীর্ষস্থানীয় এক ইংরেজি দৈনিককে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব কথা বলেছেন তার ছয় মাসের রাজনৈতিক জীবন নিয়ে।
রাজনীতির মাঠে কাটানো ৬ মাস নিয়ে সাকিব বলেন, ‘ছয় মাসের জন্য আমি রাজনীতিতে ছিলাম। নির্বাচনের পর সব মিলিয়ে তিন দিন গিয়েছি মাগুরায়। অবশ্য নির্বাচিত হওয়ার পর ক্রিকেট নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম চার থেকে পাঁচ মাস এবং দেশের বাইরেও ছিলাম প্রায় একই সময়। তো আসল পরিস্থিতিটা কেমন সেটা বুঝার জন্য হলেও যতটা সময় রাজনীতিতে থাকার প্রয়োজন সেটা তো পাইনি।’
সাক্ষাৎকারে সাকিব আরও বলেন, ‘তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বলেছিলেন, ”তোমার রাজনীতি করতে হবে না, ক্রিকেটেই মনোযোগ দাও।” আমি সেই পরামর্শ মেনেই এগিয়েছি তখন। আমার অন্য কোনো এজেন্ডা ছিল না। সবসময়ই আমি ক্রিকেটকে এগিয়ে রেখেছি। হ্যাঁ, হয়তো খুব সহজেই ক্রিকেট ছেড়ে পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ হয়ে যেতে পারতাম, কিন্তু সেটা তো আমার উদ্দেশ্য ছিল না। আমার পরিকল্পনা ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে ধীরে ধীরে রাজনীতির গভীরে যাওয়া, যেন সব বুঝতে পারি, মানুষের জন্য কাজ করতে পারি।’
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগ থেকেই দেশের বাইরে আছেন সাকিব। সপরিবারে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বশেষ খেলেছেন গত বছরের ভারত সফরের টেস্ট সিরিজে। এরপর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চাইলেও দেশে ফেরা হয়নি তার।
সারাবাংলা/জেটি
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন
শেখ হাসিনা
সাকিব আল হাসান