সাকিব-শরীফুল-সৌম্যদের হাত ধরে দ্বিতীয়বার যে কীর্তি বাংলাদেশের

সাকিব-শরীফুল-সৌম্যদের হাত ধরে দ্বিতীয়বার যে কীর্তি বাংলাদেশের

নিউজিল্যান্ডের উইকেট পেসারদের কাছে স্বপ্নের মতো। তবে ব্লাকক্যাপদের পিচের সাথে মানিয়ে নেয়ার চ্যালেঞ্জ থাকে উপমহাদেশের বোলারদের। সেখানকার বাতাসের কারণে তারতম্য হয় সুইংয়ের। কিউইদের সাথে দারুণভাবে সেই কৌশল রপ্ত করে শেষ ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে জয়ের মঞ্চ তৈরি করে দেন তিন পেসার তানজিম সাকিব, শরীফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার।

এই ম্যাচে বাংলাদেশকে হারাতে পারলে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বরেকর্ড গড়া টানা ১৮ জয়ের মাইলফলকে ভাগ বসাতো নিউজিল্যান্ড। কিন্তু কিউইদের সেই স্বপ্ন গুঁড়িয়ে দেন বাংলাদেশি পেসাররা। যার শুরুটা করেন তানজিম সাকিব। রাচীন রবিন্দ্র ও হেনরি নিকোলসের উইকেট শিকারের পাশাপশি মিডল অর্ডারে ব্লান্ডেলকেও ফেরান তিনি।

তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটার উইল ইয়ং, টম লাথাম এবং মার্ক চাপম্যানকে ফেরান আরেক পেসার শরীফুল ইসলাম। নিচের দিকের জশ ক্লার্কসন, অ্যাডাম মিলনে আর আদিত্য অশোকের উইকেট শিকার করেন সৌম্য সরকার। আর নিউজিল্যান্ডের শেষ ব্যাটার উইলিয়াম ও’রর্ককে বোল্ড করে কিউইদের ইনিংসের ইতি টানেন মোস্তাফিজ। এতে ৩১ ওভার ৪ বলে মাত্র ৯৮ রানেই গুটিয়ে যায় টম লাথামের দল। এর মাধ্যমে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে দ্বিতীয়বার প্রতিপক্ষের সব উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়লেন টাইগার পেসাররা।

এর আগে, গত মার্চে হাসান মাহমুদের ৫ উইকেট নেয়ার ম্যাচে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের ১০ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তাসকিন, এবাদতরা। কিউইদের বিপক্ষে পেসারদের এমন পারফরম্যান্সে খুশি অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও।

শান্ত বলেন, আমাদের বোলাররা কন্ডিশনের সাথে দারুণভাবে মানিয়ে নিয়েছে। গত দুই ম্যাচে শিখেছে এখানে কীভাবে ভালো বোলিং করতে হয়। এক কথায় এই ম্যাচে তারা অসাধারণ পারফরম্যান্স করেছে।

কিউইদের কন্ডিশনে পারফর্ম করতে পেরেও আনন্দিত ম্যাচ জয়ের নায়ক তানজিম হাসান সাকিবও। তিনি বলেন, গত ম্যাচে আমি অগোছালো লাইনে বল করে অনেক ভুল করেছি। ম্যাচের আগেই ভেবে নিয়েছিলাম নিয়ন্ত্রিত লাইন ও লেন্থে বোলিং করবো। এখানে উইকেটের পেছনে না ছুটে টাইট বোলিং করলেই সাফল্য আসবে।

উইকেট তুলে নেয়ার পাশাপাশি ম্যাচে কিউইদের রান আটকেও রাখেন টাইগার পেসাররা। সাকিব ৭ ওভার বল করে ২ ইকোনমিতে মাত্র ১৪ রান খরচা করেন। যার মধ্যে মেডেন ওভার ছিল দুইটি। শরীফুল ৭ ওভার বোলিং করে দেন ২২ রান। আর সৌম্য সরকার ৬ ওভারে এক মেডেনসহ খরচ করেন মাত্র ১৮ রান। তবে অন্য তিন পেসারের তুলনায় কিছুটা খরুচে বলাই যায় মোস্তাফিজকে। তিনি ৩৬ রান দিয়েছেন ৭ দশমিক ৪ ওভারে।

ওয়ানডে সিরিজ শেষ। এবার টাইগারদের মিশন ২০ ওভারের সিরিজ। ৩ দিন বিরতি দিয়ে আগামী বুধবার দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে একই ভেন্যুতে (নেপিয়ার) মাঠে গড়াবে দুই দলের মধ্যকার ১ম টি টোয়েন্টি।

/এনকে

Scroll to Top