আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোন পরিকল্পনা নেই: প্রধান উপদেষ্টা | চ্যানেল আই অনলাইন

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোন পরিকল্পনা নেই: প্রধান উপদেষ্টা | চ্যানেল আই অনলাইন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই অন্তর্বর্তী সরকারের। কিন্তু যারা হত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে জড়িত দেশের আদালতে তাদের বিচার করা হবে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ড. কমফোর্ট ইরোর নেতৃত্বে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠকে এ কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, সরকার আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে অভিযোগ করার ভাবনা বাদ দেয়নি। জাতিসংঘের একটি সত্যানুসন্ধান মিশন জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রতিবেদন তৈরি করেছে। এটা এখনো বিবেচনায় আছে বলেও জানান তিনি।

এ সপ্তাহে সশস্ত্র আরসা নেতা আতাউল্লাকে গ্রেপ্তার করায় সরকারের প্রশংসা করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের এই প্রতিনিধি দল। দলটি বলেছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় সরকারের প্রতিশ্রুতির চিহ্ন বহন করে এটি।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রণকারী আরাকান সেনাবাহিনীর সাথে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছে এই প্রতিনিধি দলটি।

অধ্যাপক ইউনূস উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তা জোগাড় করার জন্য ঢাকা কাজ করছে। একইসাথে রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে জাতিসংঘের আসন্ন বিশেষ সম্মেলনে বিষয়টির প্রতি বিশ্বব্যাপী দৃষ্টি আকর্ষণ করবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি।

বাংলাদেশ এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ছড়ানো ভুয়া তথ্যকে রুখে দিতে বাংলাদেশের প্রতি ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের সমর্থন রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই গ্রুপের নেতা।

পরিশেষে অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন ভারতের সাথে বাংলাদেশের দৃঢ় সম্পর্কের আকাঙ্খা রয়েছে। যদিও তিনি দুঃখপ্রকাশ করে বলেছেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারিত বেশির ভাগ ভুয়া তথ্য ভারতের গণমাধ্যম থেকে প্রচার হয়েছে।

এসময় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, কোনো দাবিতেই ভোট অনুষ্ঠানে দেরি করা হবে না এবং নির্ধারিত সময়েই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি জানান, নির্বাচনের দুইটি সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সরকার এই সময় পরিবর্তন করবে না। সরকার ভোট বিলম্ব করতে চায় না।

Scroll to Top