তবে বিএনপির আইনজীবী নেতাদের এমন দাবি নাকচ করে আসছে রাষ্ট্রপক্ষ। আর চলতি ডিসেম্বর মাসের ৮ তারিখে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেছেন, মামলাজট কমাতে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে পুরোনো মামলা নিষ্পত্তি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এখানে বিএনপি কোনো লক্ষ্যবস্তু নয়।
বৃহস্পতিবার যে মামলায় ৯৩ জনের সাজা হয়েছে, সেটি রাজধানীর তুরাগ থানায় করা হয়েছিল ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। এর সাড়ে তিন মাস পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত (২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর) হয়।
এ মামলার এজাহারের বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তুরাগের ধউর চৌরাস্তাসংলগ্ন মহাসড়কে বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা বিশৃঙ্খলা করার জন্য সমবেত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাঁরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান।
এ ঘটনার মামলায় তুরাগ থানা বিএনপির সভাপতি আতিকুর রহমানসহ ৯৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। রায়ে ৯৩ জনের প্রত্যেককে আড়াই বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় কেউ আদালতে হাজির ছিলেন না। আদালত তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা জারি করেছেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাচ্ছেন না বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করা হবে।
তুরাগ ছাড়াও সূত্রাপুর, রামপুরা ও বংশাল থানায় বিএনপি এবং জামায়াতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে করা পৃথক তিনটি মামলার রায় হয়েছে এদিন।