ভারতে আবারও বাড়তে শুরু করেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। বাড়তি সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত জুড়ে বাড়ছে কোভিড-১৯ ভাইরাসের নতুন ভেরিয়্যান্ট জেএন.১।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই উপরূপের সংক্রমণই দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু এই ভেরিয়্যান্টের সম্পর্কে দেশবাসীর মধ্যে এখনও কোনও স্বচ্ছ ধারণা তৈরি হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, ওমিক্রন এবং ওমিক্রনের বংশধর জেএন.১ রূপ দুইটি প্রায় অভিন্ন। ওমিক্রনের স্পাইক প্রোটিনের সঙ্গে সামান্য পার্থক্য ছাড়া আর বিশেষ কোনও তফাৎ নেই কোভিডের দুই ভেরিয়্যান্টে। তাই এটিও এক শরীর থেকে অন্য শরীরে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
সিডিসির জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের যে লক্ষণগুলো দেখা যায়,ক্লান্তি, মাথাব্যথা, কাশি, জ্বর, জেএন.১-এর সংক্রমণেও মোটামুটি একই লক্ষণ দেখা যায়। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে যেসব টিকা ব্যবহার হচ্ছে তা জেএন.১ ভেরিয়্যান্টকে দুর্বল করতে সক্ষম।
সিডিসি জানিয়েছে, কোভিডের বুস্টার টিকা ওমিক্রন ভেরিয়্যান্টকে দুর্বল করতে তৈরি করা হয়েছিল। সেই টিকা মানুষের শরীরে যে অ্যান্টিবডি তৈরি করে, তা জেএন.১-কে ঠেকাতেও সক্ষম। বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনার বুস্টার টিকা সংক্রমণ পুরোপুরি ঠেকাতে না পারলেও প্রাণহানির সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
গত ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জেএন.১-এর বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে আপাতত বুস্টার টিকাই ব্যবহার করা উচিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, জেএন.১ ভেরিয়্যান্টে সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর আশঙ্কা প্রায় নেই বললেই চলে। চীনে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েক জন করোনার জেএন.১ এ আক্রান্ত হয়েছে।
ভারতে এখন পর্যন্ত জেএন.১ এ আক্রন্ত হয়েছে ২১ জন। ভারতের গোয়া, কেরল এবং মহারাষ্ট্রে রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।