শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে আলম হোসেন (২৯) নামের এক জামাইকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ, যাদের একজন নাবালক রয়েছে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার ২১ ডিসেম্বর ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজার’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ভারতের আনন্দপুর থানার গুলশন কলোনিতে এই ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, পেশায় দিনমজুর আলমকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। আলমের বোনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত ছয়জজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলমের সাথে ২০১৪ সালে বিয়ে হয় গুলশন কলোনির বাসিন্দা গুড়িয়া বিবির। ওই দম্পতির তিনটি শিশুসন্তান রয়েছে। আলমের পরিজনদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাদের বনিবনা হচ্ছিল না। আলম প্রায়ই নেশা করে থাকতেন। এই নিয়ে তাদের অশান্তি লেগে থাকত। এই কারণে গত কয়েক মাস ধরে মা-বাবার কাছে থাকছিলেন গুড়িয়া।
পুলিশ জানায়, রোববার সন্ধ্যায় আলমকে ডেকে পাঠান শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে তিনি শ্বশুরবাড়ি আসেন। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে আলমকে মদ খাইয়ে নেশাগ্রস্ত করে গুড়িয়া, তার মা ও বাবা মারধর করেন। আলমের শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লাগে। এর পরে রিকশায় চাপিয়ে আলমকে তিলজলার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন গুড়িয়ার বাড়ির লোকজন। সোমবার আলমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই রাতেই সেখানে মারা যান তিনি।
এর পরেই মঙ্গলবার সকালে আলমের বোন শাবানা পরভিন তার ভাই’র শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে আনন্দপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
তদন্তকারীরা জানান, মৃতের দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঠিক কোথায় আঘাত লেগে আলমের মৃত্যু হয়েছে, তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই জানা যাবে।