এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালের মর্গে ছয় মাস বা তার বেশি সময় ধরে আট ভারতীয় ও এক পাকিস্তানি নাগরিকের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। এ বিষয়ে ভারত ও পাকিস্তানের দূতাবাসকে একাধিকবার চিঠি দেওয়া হলেও সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ কারা অধিদফতরের মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, বাংলাদেশ কারা অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নয়জনের মধ্যে ছয়জনের দেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে, দুইজনের দেহ শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে এবং একজনের দেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাখা রয়েছে। মৃতদের মধ্যে আটজন ভারতীয় এবং একজন পাকিস্তানি নাগরিক।
পাকিস্তানি নাগরিকের নাম মহম্মদ আলি। করাচির বাসিন্দা মহম্মদ আলি ২০২১ সালের ১৮ জুন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের অভিযোগ ছিল।
ভারতীয় মৃতদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ইমতাজ, বিহারের তারেক বাইন, পশ্চিমবঙ্গের খোকন দাস, দিল্লির অশোক কুমার ও সতেন্দ্র কুমার, ঝাড়খণ্ডের কুনালিকা, এবং বাবুল ও সুরজ সিংহ। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেও অনুপ্রবেশের মামলা ছিল।

বাংলাদেশের কারা অধিদফতর জানিয়েছে, মৃতদেহগুলো হস্তান্তরের জন্য নিয়ম মেনে ভারতের এবং পাকিস্তানের হাইকমিশনকে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এতে দেহ সংরক্ষণের খরচ ক্রমশ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কারা মহাপরিদর্শক।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন জানান, সাধারণত তিন মাসের মধ্যে দূতাবাসের জবাব না পেলে মৃতদেহগুলোর শেষকৃত্যের ব্যবস্থা করা হয়। তবে মানবিক কারণে এই মৃতদেহগুলো দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। যদি দুই দেশের দূতাবাস ব্যবস্থা না নেয়, তবে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের মাধ্যমে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হবে।
বাংলাদেশের ৬৮টি জেলে বর্তমানে ৪৬৭ জন বিদেশি বন্দী রয়েছেন। বিদেশিদের মৃত্যু হলে দূতাবাসের মাধ্যমে তাদের দেশের কাছে দেহ হস্তান্তর করার নিয়ম রয়েছে। তবে এই ক্ষেত্রে কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের ওপর চাপ বেড়েছে।